কিন্তু এরপর থেকে ছন্দপতন। দুরন্ত কামব্যাক করলেন লো। নেট প্লে থেকে শুরু করে ক্রস কোর্ট, সব জায়গাতেই ছাপিয়ে গেলেন ভারতীয় শাটলারকে। একের পর এক ভুল করতে শুরু করলেন শ্রীকান্ত। স্ম্যাশ ভুলভাল করলেন। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেট ২১-১৫ ব্যবধানে জিতে নিলেন লো কিন। সময় নিলেন মাত্র ১৬ মিনিট । দেখার ছিল দ্বিতীয় সেটে কিভাবে কামব্যাক করেন শ্রীকান্ত।
advertisement
শ্রীকান্ত লড়াই করার চেষ্টা করলেন শুরু থেকে। হিউর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলেন। শ্রীকান্তর পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন কোরিয়ান পার্ক। যাকে সিন্ধুর খেলা থাকলে দেখা যায়। এই সেটে কিছু দীর্ঘ রালি দেখা গেল। একটা সময় পর্যন্ত ৯-৭ এগিয়ে ছিলেন শ্রীকান্ত। কিন্তু ক্রস কোর্ট শট মারার ক্ষেত্রে সেই দুর্বলতা রয়ে গেল তার। যার সুবিধা পেলেন সিঙ্গাপুরের শাটলার।
আর একবার পিছন থেকে এসে ১১-৯ এগিয়ে গেলেন দ্বিতীয় সেটে। ড্রপ শট মারার ক্ষেত্রে শ্রীকান্তর তুলনায় এগিয়ে ছিলেন প্রতিপক্ষ। এই সেটে একটি রালি চলল ৪৯ শটের। ১৬-১৪ এগিয়ে ছিলেন শ্রীকান্ত। কিন্তু আবার আনফোর্সড এরর দেখা গেল তার খেলায়। লো এগিয়ে গেলেন ঝড়ের গতিতে। চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট এ দাঁড়িয়ে ছিলেন সিঙ্গাপুরের তারকা।
শ্রীকান্ত ২০-২০ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত পারলেন না ভারতীয় তারকা। ২১-২২ হেরে গেলেন দ্বিতীয় সেটে। তবে তার লড়াই মনে রাখবে অনেকে। শ্রীকান্তকে নিজের ভুলের মূল্য দিতে হল বেশি। যোগ্য হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হলেন লো কিন হিউ। ছোটবেলায় পেশাদারী সাঁতারু ছিলেন সিঙ্গাপুরের এই ব্যাডমিন্টন তারকা।
ভারতীয়র তুলনায় তার ফিটনেস এবং প্লেসমেন্ট এগিয়েছিল। শ্রীকান্ত গর্বিত হতেই পারেন। সোনা পেলে দেশ নতুন ইতিহাস লিখত। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রূপো কম কৃতিত্বের নয়। কিংবদন্তি প্রকাশ পাদুকোন এবং দু'বছর আগে সাই প্রণীত এই প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন।