৮৮ রানে অলআউটের ক্ষত ছিল বাংলার। সেই ক্ষতে এদিন মলম পড়ল। অরুণ লালের দল রঞ্জির প্রথম ম্যাচেই দাঁতে দাঁত চেপে লড়ল। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ, ঈশাণ পোড়েল, মনোজ তিওয়ারিরা। সঙ্গে যুক্ত হল রঞ্জি ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৩৪৯ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির।
advertisement
আরও পড়ুন- ঋদ্ধিমান চক্রান্তের শিকার, ক্ষোভে ফুঁসছে 'পাপালি'র শহর, লাগাতার আন্দোলনের ডাক
শাহবাজ আহমেদ অপরাজিত ৭১। অভিষেক পোড়েলের অপরাজিত ৫৩। চার উইকেটে শক্তিশালী বরোদাকে হারাল বাংলা। কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করেছিল বাংলা দল। ঈশান পোড়েল আগুনে বোলিং করে চার উইকেট তুলে নেন। মুকেশ কুমার নেন তিনটি। বরোদা গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে। এর পর বাংলার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ৮৮ রানে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বাংলারহার নিশ্চিত। সেখান থেকেই লড়ে ম্যাচ জিতল বাংলা দল।
৯৩ রানের লিড পেয়ে গিয়েছিল বরোদা। কেদার দেবধরের দল অলআউট হয়ে যায় ২৫৫ রানে। ৩৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল বাংলার সামনে। এদিকে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলার ক্রিকেটারদের। এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা দেয় বাংলা। সুদীপ ঘরামি এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ প্রথম উইকেটে ৮৯ রান যোগ করেন। এর পর ২৭ রান করে আউট হন সুদীপ। তার পরই উইকেট দিয়ে আসেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। ১৪৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলার উপর চাপ বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন- একই ছবিতে ১০ জন বিরাট কোহলি! আসল কে? আপনিও দ্বন্দ্বে পড়ে যাবেন
৭৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরণ। সেট হওয়ার পরও মাত্র ৩৭ রান করে আউট হন মনোজ তিওয়ারি। এর পর শাহবাজ ও অভিষেক দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। সপ্তম উইকেটে ১৩৪ বলে ১০৮ রানের পার্টনারশিপ খেলেন তাঁরা।