ড্রিম১১ এবং মাই১১সার্কেল যৌথভাবে গত কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। ড্রিম১১ এককভাবে ২০২৩-২০২৬ সময়কালের জন্য ৩৫৮ কোটি টাকায় স্পনসরশিপ অধিকার পায়, তবে সরকারী নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা এক বছর আগেই চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছে। বিসিসিআই জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ড্রিম১১-কে কোনো জরিমানা করা হবে না, কারণ এটি একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা।
advertisement
বিসিসিআই জানিয়েছে, বিডার বা তাদের গ্রুপ কোম্পানির অনলাইন মানি গেমিং, বেটিং, জুয়া, অথবা ক্রিপ্টো সংক্রান্ত কোনো ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা চলবে না। তামাক, অ্যালকোহল এবং নৈতিকভাবে আপত্তিকর কনটেন্টের সঙ্গেও জড়িত প্রতিষ্ঠান বিড করতে পারবে না। এছাড়া যেসব ক্যাটাগরিতে বিসিসিআইয়ের বর্তমান স্পনসর রয়েছে, যেমন অ্যাথলেটিক পোশাক, ব্যাংকিং, ইনসুরেন্স ইত্যাদি—সেগুলো থেকেও বিড গ্রহণযোগ্য নয়।
সারোগেট ব্র্যান্ডিং বা অন্য প্রতিষ্ঠানের হয়ে ছদ্মবেশে বিড করার চেষ্টা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো সংস্থা যদি একাধিক পণ্য ক্যাটাগরিতে কাজ করে এবং তার একটি নিষিদ্ধ তালিকায় পড়ে, তাহলেও বিড করার অনুমতি থাকবে না। এটি বিসিসিআইয়ের স্বচ্ছ ও নৈতিক স্পনসরশিপ নিয়মাবলীর অংশ।
আরও পড়ুনঃ North 24 Parganas News: বাগুইআটির হোটেলে অগ্নিকাণ্ড, খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম
বিডিংয়ের জন্য ইচ্ছুক সংস্থাগুলোর আর্থিক যোগ্যতা হিসেবে ধার্য করা হয়েছে গত তিন বছরে গড় বার্ষিক টার্নওভার বা নিট সম্পদ কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা। ডকুমেন্ট সংগ্রহের জন্য ৫ লাখ টাকা এবং প্রযোজ্য জিএসটি ফি জমা দিতে হবে। ইচ্ছুক বিডারদের ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে IEOI কেনা এবং ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিসিসিআই যে কোনো সময় এই প্রক্রিয়া পরিবর্তন বা বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে রেখেছে।