কলকাতা : ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে আজ। প্রত্যাশামতোই দিল্লির প্রাক্তন অধিনায়ক মিঠুন মানহাসকে রজার বিন্নির পরিবর্তে এই পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই মিঠুন এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
advertisement
রবিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, তিনি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, যেখানে BCCI-র প্রধান কার্যালয় অবস্থিত, সেখানে পৌঁছান। সেখানেই BCCI-এর বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM)-তে তাঁর নাম সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়।
BCCI-এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি (ঘোষণা: ২৮ সেপ্টেম্বর, AGM): সভাপতি (President): মিঠুন মানহাস (নতুন), সহ-সভাপতি (Vice President): রাজীব শুক্লা (পুনরায় নির্বাচিত), সচিব (Secretary): দেবজিত সইকিয়া (পুনরায় নির্বাচিত), যুগ্ম সচিব (Joint Secretary): প্রভতেজ সিং ভাটিয়া (রোহন গাউস দেশাইয়ের জায়গায়), কোষাধ্যক্ষ (Treasurer): এ. রঘুরাম ভাট (প্রভতেজ সিং ভাটিয়ার পরিবর্তে)।
মিঠুন মানহাস কে? দিল্লির রঞ্জি ট্রফি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স, এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর হয়ে খেলেছেন। খেলার পাশাপাশি কোচিং ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত একজন নির্ভরযোগ্য নাম। এই পরিবর্তনের ফলে বোর্ডে এক অভিজ্ঞ ঘরোয়া ক্রিকেটারের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো, যা BCCI-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আধুনিক ক্রিকেট প্রশাসনে এক নতুন ধারা আনার ইঙ্গিত দেয়।
মিঠুন মানহাস-কে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (JKCA) কর্তৃক মনোনীত করা হয়েছিল, যেখানে তিনি একজন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৭/৯৮ মৌসুমে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। মানহাস ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং ভারত ‘এ’ দলের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর রেকর্ড অত্যন্ত ভাল হলেও তিনি কখনও ভারতের সিনিয়র জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। এর একটি বড় কারণ ছিল, সেই সময় ভারতীয় দলে ইতিমধ্যেই সৌরভ, ভিভিএস লক্ষ্মণ, সচিন তেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড়-এর মতো কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানদের উপস্থিতি। ফলে প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
মিঠুন মানহাস এখনও পর্যন্ত ১৪৭টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি গড়ে ৪৫.৮২ রান করে মোট ৯,৭১৪ রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ২৭টি সেঞ্চুরি এবং ৪৯টি হাফ-সেঞ্চুরি। তাঁর সেরা রঞ্জি ট্রফি মরসুম ছিল ২০০৭-০৮, যখন দিল্লি রঞ্জি খেতাব জয় করে। সেই মৌসুমে মানহাস গড়ে ৫৭.৫৬ রান করে ৯২১ রান করেছিলেন।
আরও পড়ুন- নিয়মরক্ষার ম্যাচ সুপার ওভারে, ভারতের অল উইন রেকর্ডে কালি লাগাতে পারল না শ্রীলঙ্কা
এদিন বোর্ডের এজিএম-এ গেলেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে, মহারাজ কি তবে অভিমান করেই এই মিটিংয়ে যোগদান করলেন না!