ভারতের বিপক্ষে গতকাল হার। ফলে এশিয়া কাপে আজকের ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য ছিল ‘অঘোষিত ফাইনাল’। অবশ্য শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, প্রতিপক্ষ পাকিস্তানেরও একই অবস্থা ছিল। দুবাইয়ে যে দল জিতবে তারাই ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে, হিসেব ছিল এমনই। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ হারল।
বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জাকের আলি অনিক। পাঁজরের চোটের কারণে আজও একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম একাদশে আজ তিনটি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম, মহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাসুমকে বাদ দিয়ে নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী ও তাসকিন আহমেদকে সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সহজ কথায় বলতে গেলে, দলের সবাই ফ্লপ।
advertisement
গতকাল একটি ক্যাচ মিসের মাশুল দেয় বাংলাদেশ। ‘জীবন’ পাওয়া অভিষেক শর্মার ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের কারণেই ভারতের কাছে ৪১ রানের পরাজয় দেখে বাংলাদেশ। আজও তিনটি ক্যাচ মিস। না হলে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৩৫ রান হত না। ৪৯ রানে ৫ উইকেট তুলে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন রিশাদ হোসেন-তাসকিন আহমেদরা। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান করে ১৩৫।
আরও পড়ুন- ‘ভারতকে হারাব’, স্বপ্ন এখনও স্বপ্নই বাংলাদেশের! টাইগারদের লজ্জার হার, টিম ইন্ডিয়া ফাইনালে
শাহীন আফ্রিদির ক্যাচ ফেলেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী। অন্যদিকে, তাসকিনের বলে পারভেজ হোসেন ইমনের কাছে জীবন পান নওয়াজ। জঘন্য় ফিল্ডিং, তার থেকেও খারাপ ব্যাটিং। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো শট খেলে একের পর এক বাংলাদেশি ব্যাটারের প্যাভিলিয়নে ফেরা। সব মিলিয়ে এই বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে বরং বেশি অবাক হতে হত।