অন্যদিকে রিজওয়ান যাঁকে হটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন, সেই বাবর আজমেরও ব্যাট হাতে ভাল সময় যাচ্ছে না। এশিয়া কাপে সব ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৬৮ রান। তাই র্যাঙ্কিংয়ে এই দুই ব্যাটসম্যান শীর্ষে থাকলেও তাঁদের সঙ্গে ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মার তুলনা করতে নারাজ পাকিস্তানের প্রাক্তন ওপেনার সালমান বাট।
রোহিত নিজেও ধারাবাহিকভাবে বড় রান করতে পারছেন না। এশিয়া কাপে করেছেন সর্বসাকল্যে ১৩৩ রান, যার মধ্যে এক ম্যাচেই করেছেন ৭২ রান। বড় ইনিংস না খেলতে পারলেও ঝোড়ো শুরু এনে দিতে তাঁর জুরি মেলা ভার। সে জন্যই চলতি বছরে তাঁর খেলা ১৭ টি-টোয়েন্টিতে গড় ২৬.৪৩ হলেও তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৪৩.৩৮। ছক্কা মেরেছেন ২১টি।
advertisement
যেখানে এ বছরে এখন পর্যন্ত বাবর-রিজওয়ান দুজনে মিলে ছক্কা মেরেছেন ৯টি। রিজওয়ানের স্ট্রাইকরেট ১১৭ আর বাবরের স্ট্রাইকরেট ১২২.৯৩। সে জন্যই সালমান বাট মনে করেন, রোহিতের অনায়াসে ছক্কা হাঁকানো, সহজাত টাইমিং—যেকোনো সংস্করণেই তাঁকে আলাদা কাতারে রাখবে বাবর-রিজওয়ানদের থেকে, রোহিতের দক্ষতার সঙ্গে বাবর এবং রিজওয়ানের তুলনা চলে না।
কোহলির অর্ধেক ফিটনেসও যদি ওর হত, ওর থেকে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসমান আর কেউ হত না। রোহিতের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা করেন খোদ ভারতীয় সমর্থকরাও। অন্যদিকে কোহলির ফিটনেস অ্যাথলেটদের কাছে আদর্শ। তাই অন্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস মাপা হয় কোহলির ফিটনেসের সঙ্গে তুলনা করে।
সালমান বাট মনে করেন কোহলির অর্ধেক ফিটনেসও যদি রোহিতের থাকত, তবে ব্যাটসম্যানশিপের দিক থেকে রোহিতের সঙ্গে শুধু তুলনা হত শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ডি-ভিলিয়ার্সের। এমনিতে রোহিত শর্মাকে ব্যাটিংয়ের নবাব বলে মনে করেন সালমান বাট। তার স্টাইল বাকি সবার থেকে আলাদা।