আজ অবধি এটিকে মোহনবাগান শিবিরের কতজন করোনা আক্রান্ত বা কারা আক্রান্ত সেই বিষয়টি ক্লাব বা আইএসএল খোলসা করেনি। আজ ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণার সময় জানানো হয়েছে, এটিকে মোহনবাগানের একাধিক ফুটবলার করোনার কবলে পড়ায় মেডিক্যাল টিমের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত। বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লাব মাঠে দল নামানোর পরিস্থিতিতে রয়েছে কিনা, খেলোয়াড়রা কতটা গুরুতর কোভিড-১৯ আক্রান্ত, দলের সদস্যরা সুরক্ষিত থেকে দলকে ম্যাচে নামানোর জন্য প্রস্তুত করতে পারছেন কিনা, এমন বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
advertisement
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সকলের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লিগ ও ক্লাব একসঙ্গে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। সূত্রের খবর, এটিকে মোহনবাগানের পাঁচজন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত। দল অনুশীলনও করতে পারেনি। আবার বেঙ্গালুরু এফসি যে হোটেলে রয়েছে সেখানকার এক কর্মীরও করোনা। ফলে দিন দুই ধরে বেঙ্গালুরুর অনুশীলনও বন্ধ। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেনি এই দুই দলের কোচ। এই অবস্থায় আজকের ম্যাচটি হওয়া নিয়ে এমনিতেই সংশয় ছিল।
আইএসএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগে জানিয়েছিল, কোনও দলের হয়ে মাঠে নামার জন্য ১৫ জন না থাকলেই সেই ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে। তা না করা গেলে প্রতিপক্ষকে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করা হবে ওই ম্যাচে। দুই দলই যদি নামতে না পারে তাহলে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র বলে ধরা হবে। কিন্তু এদিনের ম্যাচের ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘোষণা হয়নি এখনও পর্যন্ত।
ওডিশা এফসি ম্যাচ না হওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের লিগশীর্ষে যাওয়ার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেই এখনো পর্যন্ত দাবি সংগঠকদের। একটু পরিস্থিতির উন্নতি হলে শনি এবং রবিবার দেখে ডবল হেডার ম্যাচ করার পরিকল্পনা রয়েছে আইএসএল কমিটির। কোন ভাবেই লিগ বন্ধ করতে নারাজ তারা।
ইস্টবেঙ্গল দলও কয়েকদিন অনুশীলন করতে পারেনি। ফুটবলারদের আক্রান্ত হওয়ার খবর না থাকলেও একজন হোটেল কর্মী এবং একজন বাস ড্রাইভার আক্রান্ত হয়েছেন লাল হলুদ শিবিরে। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার কেরল ব্লাস্টার্স বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচ সুচি মেনেই হওয়ার কথা।