( জর্ডান)
এটিকে মোহনবাগান - ০
#গুয়াহাটি: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করার পর শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। দলে বেশ কিছু চটাঘাত সমস্যা লেগেই ছিল। এমনিতেই তিনজন বিদেশিকে নিয়ে নেমেছিল সবুজ মেরুন। আজকেও ছিলেন না হুগো বুমু। নর্থইস্ট ইউনাইটেড সবচেয়ে নিচের দল। তাদের বিরুদ্ধে খাতায়-কলমে এগিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু ফুটবল খেলাটা খাতায় কলমে কম, মাঠে বেশি হয়।
advertisement
অনেক দুর্বল দল ফেভারিট দলকে হারিয়ে চমকে দিতে পারে সেটা ফুটবলে নতুন কিছু নয়। প্রথমার্ধে আক্রমণ বেশি ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু বক্সের মধ্যে ফিনিশিং হচ্ছিল না। তার মধ্যেই প্রথমার্ধে জর্ডানের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অন্যদিকে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে দিমিত্রি, আশিক, লিস্টনরা অনেক সুযোগ তৈরি করেও কাজের কাজ করতে পারছিলেন না।
নর্থ ইস্ট দলটার কিছু হারানো ছিল না। তারা সাহসী হবে জানাই ছিল। ৬৯ মিনিটে সকলকে অবাক করে দিয়ে গোল পেয়ে গেল নর্থ ইস্ট। ডান দিক থেকে এমিল বেনির ক্রস হেড করে জালে জড়িয়ে দিলেন জর্ডান। গোলরক্ষক বিশাল চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি। মোহনবাগানের ২ ডিফেন্ডার প্রীতম এবং হামিল দর্শকের ভূমিকা ছিলেন।
যত সময় চলে যাচ্ছিল, ততই চাপ বাড়ছিল এটিকে মোহনবাগানের। এর মধ্যে দীপক এবং আশিক চোট পাওয়ার কারণে উঠে যেতে হয়। নামানো হয় কিয়ান এবং ফারদিনকে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হল না। একজন যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাব এই মোহনবাগান দলটায় বড্ড বোঝা যাচ্ছে। সার্বিয়ার ডিফেন্ডারকে তারা সই করিয়েছে ঠিক কথা। কিন্তু জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার না নিলে সমস্যা মিটবে না।
তবে লাস্ট বয়ের কাছে হার সবুজ মেরুন শিবিরের কাছে লজ্জার। বড়দিনের আগে যেন শান্তা ক্লজের গিফট পেল উত্তর পূর্ব ভারতের দলটি। শেষ মুহূর্তে এমিল বিনির শট মোহনবাগানের গোলরক্ষক না বাঁচালে ব্যবধান আরো বাড়তে পারত নর্থ ইস্ট এর পক্ষে। তবে এই পরাজয় সবুজ মেরুনকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বিরাট বড় বাধা সৃষ্টি করল সন্দেহ নেই। তিন নম্বরে রইল এটিকে মোহনবাগান। জিতেও শেষ স্থানেই রইল নর্থ ইস্ট।