নতুন বছরটা এখনও পর্যন্ত একেবারেই ভাল যায়নি এটিকে মোহনবাগানের কাছে। ৫ জানুয়ারি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ড্র করার পর এটিকে মোহনবাগান শিবিরে হানা দেয় করোনা।
পরপর তিনটি ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। এরপর ২৩ জানুয়ারি ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নেমে আটকে যায় সবুজ-মেরুন। এবার তাদের সামনে আরও কঠিন লক্ষ্য। শনিবার কলকাতা ডার্বি। ভারতীয় ফুটবলের বহু প্রতীক্ষিত সেই ম্যাচ জিতে শেষ চারে ঢোকার লড়াইয়ে থাকতে চান সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। গতবারের মতো এবারও এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খাতায়-কলমে এগিয়ে সবুজ-মেরুন।
advertisement
তবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে লিগ তালিকায় অবস্থানের বিচারে খুব একটা ফারাক নেই। আট নম্বরে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। এসসি ইস্টবেঙ্গল সবার শেষে। এত নীচে থেকে কখনও মুখোমুখি হয়নি দুই দল। যদিও করোনার কারণে বাকি দলগুলির থেকে অন্তত তিনটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা। দলের মিডফিল্ডার হুগো বুমোস মেনে নিচ্ছেন, এবার পরিস্থিতি অন্যরকম।
বলেছেন, অনেক দিন অনুশীলনের মধ্যে ছিলাম না আমরা। তাই প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন করে আগের জায়গায় ফিরতে হচ্ছে। তাছাড়া ডার্বির গুরুত্ব সব সময় আলাদা। বাড়তি উত্তেজনা নিয়ে ম্যাচটা খেলতে হবে। ম্যাচে জেতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ৪ গোল খেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে সে কারণে প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখতে রাজি নন বুমোস। বলেছেন, ওরা আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতেই নামবে।
আমাদের শেষ চারে যেতে হলে এই ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বাতিল হওয়া ম্যাচগুলি যখন হবে সেখানেও পুরো পয়েন্ট পেতে হবে। শেষ ম্যাচে আমরা ওড়িশার বিরুদ্ধে জিততে পারিনি। প্রচুর গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। ডার্বির অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রীতম কোটাল বলেছেন, ডার্বি সব সময় স্পেশ্যাল। বিশেষ করে আমাদের মতো যারা বাংলার ছেলে তাদের কাছে।
পাশাপাশি সদস্য-সমর্থকদের কাছে এই আবেগ আলাদা। লিগে জিতলেও ডার্বি না জিততে পারলে রাস্তায় গেলে কটাক্ষ শুনতে হয়। তাই এই ম্যাচটা জিততে হবে। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করবে। কিন্তু আমাদের নিজেদের জন্য জিততে হবে। ইস্টবেঙ্গল তাদের অনেক বিদেশি বদলে ফেলেছে। অ্যান্টোনিও পেরোসোভিচ ছাড়াও ডার্বিতে লাল হলুদের ভরসা ব্রাজিলের মার্সেলো এবং স্পেনের হোসে সোটা। তাই প্রথম লেগের মত লড়াই সহজ হবে না জানে সবুজ মেরুন শিবির।