জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার দিয়াগামা মাহিন্দা রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫ ও ৬ জুলাই ‘৩৮তম এনুয়াল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স মিট’ অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মালদহের ইংরেজবাজার শহরের সিঙ্গাতলার সুপ্রিয়া দাস। পরিবারের রয়েছে স্বামী সহ দুই সন্তান। পেশায় তিনি এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী রাজু ঘোষ পেশায় একজন পুলিশ। তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণি এবং ছেলে স্নাতকের ছাত্র।
advertisement
পরিবারের সদস্যরা জানান, সুপ্রিয়া চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই, তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে মারা যান। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তাঁর বড় দিদির বিয়ে হয়। একাদশ শ্রেণিতে বিয়ে হয় সুপ্রিয়ার। ফলে, অ্যাথলেটিক্স হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায় তাঁর। তবে শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতায় উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। গৌড় মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। পড়াশোনা করলেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তখন তাঁর।
এরপর অবশেষে নিয়মিত মাঠে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন সুপ্রিয়া। এইবার শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ১৫০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে সোনা জয়ী হন তিনি। সুপ্রিয়া দাস বলেন, “রাজ্য স্তর থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে অংশগ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করেছি। এবারে আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য মেলায় খুব ভাল লাগছে।”
এ বিষয়ে কোচ অসিত পাল বলেন, “এমন এই বয়সে অনেক মহিলারাই শরীরের ভারে বাড়িতে বসে যান। সুপ্রিয়া ক্রীড়া মহলের কাছে ব্যতিক্রম। তিনি নিয়মিত প্রশিক্ষণও নেন। তাঁর এমন সাফল্যে আমরা সকলে খুব খুশি।” মালদহ জেলায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ জায়গা না থাকলেও। একজন মহিলা হিসেবে সুপ্রিয়া দাসের এমন সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে জেলার ক্রীড়া মহলে।
জিএম মোমিন।