অনবদ্য শতরান করে এবং প্রখর অধিনায়কত্বের কারণে ম্যাচে সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। কিন্তু যে রাহানের কারণে অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই মাটিতে বিধ্বস্ত করেছিল ভারত, সেই রাহানেই এখন দলে কোনঠাঁসা। মূলত ব্যাটে রান না থাকার কারণে তাঁর টেস্ট ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। অ্য়াডিলেডে লজ্জাজনক হারের পর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে দেশে ফিরে এসেছিলেন বিরাট কোহলি।
advertisement
তাঁর অবর্তমানে অধিনায়কত্ব সামলেছিলেন রাহানে। রাহানের একাধিক সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল ভারতকে। ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারতীয় দল ঘুরে দাঁড়িয়েছিল স্রেফ দক্ষ অধিনায়কত্ব এবং পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু কখনও নিজের হয়ে গলা ফাটাননি মুম্বইের এই ব্যাটসম্যান। বরং তাঁর কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছে অন্য জনেরা। এমনটাই মনে করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন সহ-অধিনায়ক।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাহানে বলেছেন, আমি জানি আমি কী করেছি ওখানে। আমার সেটা কউকে বলার প্রয়োজন নেই। গিয়ে ক্রেডিট নেওয়াটা আমার স্বভাবে নেই। হ্যাঁ এমন অনেক সিদ্ধান্ত রয়েছে যেটা আমি মাঠের মধ্যে বা ড্রেসিংরুমে নিয়েছি। কিন্তু অন্য কেউ সেটার ক্রেডিট নিয়ে গিয়েছে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল সিরিজটা আমরা জিতেছিলাম। ওটা ঐতিহাসিক সিরিজ ছিল এবং আমার কাছে ওটা সত্যিই বিশেষ একটা সিরিজ।
রাহানে কারোর কথা নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর ইঙ্গিত যে রবি শাস্ত্রীর দিকে তা অনেকটাই স্পষ্ট। বরাবরই দলের সাফল্যে কৃতিত্ব নিজেই নিয়ে এসেছেন শাস্ত্রী। তাঁর কোচিং-এ ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স এবং দাপটের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৃতিত্ব নিয়ে খবরের শিরোনামে থেকেছেন শাস্ত্রী।
অজিঙ্কা রাহানে যেভাবে মেলবোর্নে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছিলেন, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কপিল দেব থেকে শুরু করে সুনীল গাভাসকরের গলায়। অর্থাৎ তৎকালীন টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারের সম্পর্ক ঠিক ছিল না, সেটা আবার প্রমাণিত।