স্থানীয়রা বলেন, এক সময় রায় পরিবারের বিশাল জমিদারি ছিল এলাকায়। প্রচুর সম্পত্তির মালিক ছিলেন তারা। বিভিন্ন জায়গায় তারা জমি দান করেছেন। যার উপর স্কুল, সরকারি অফিস ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। কিন্তু সেই রায় পরিবারের সদস্যদের এখন দৈনদশা।কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন তারা। বসবাস করছেন ত্রিপলের নিচে ঝুপড়ি বাড়িতে। রায় পরিবারের বর্তমান কিছু সদস্য সেই পুরানো বাড়িটিতে বসবাস করেন। আর কিছু সদস্য এখন ঝুপড়ি তৈরি করেই বসবাস করছেন। অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
advertisement
বর্তমানে সেই পুরানো বাড়িটির করুন অবস্থা। ভগ্নপ্রায় বাড়িটি থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। ছাদ থেকে জল নেমে আসে বাড়ির ভিতরে। যে কোনও সময় হতে পারে বড়সড় বিপদ। তাই আবাস যোজনার বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিশাল এই অট্টালিকার কারণেই বাড়ি পাননি কেউ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকেও এই পরিবারটির জন্য বাড়ির আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু তাদের দোতলা একটি বাড়ি রয়েছে, সে কারণে তাঁরা বাড়ি পাননি। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, বাড়ি থাকলেও সেটি বসবাসের অযোগ্য।
একসময় বিশাল জমিদারি থাকলেও এখন তাদের দৈন্যদশা। তাই আবাস যোজনার বাড়ি তাঁরা পেলে ব্যাপক উপকৃত হবেন। এমনটাই বলছেন রায় পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা। এক সময় বৈভব যাঁদের সঙ্গী ছিল, এখন অভাব তাঁদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। অন্তত মাথার উপর স্থায়ী ছাদটুকুর ব্যবস্থা হলেও কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পারেন তাঁরা। কিন্তু সেই আশা কি পূর্ণ হবে? প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
নয়ন ঘোষ