চড়া সুদে লোন নিয়েই ভরসা করে ওই ব্যক্তির হাতে দু\’লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন ঈশ্বর বাবু। ব্যাস তাতেই হয়ে গেল গণ্ডগোল। ভুল বুঝতে পেরে তিনি এখন দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। ইতিমধ্যেই কোটশিলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ঈশ্বর কুমারের অভিযোগ, মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়। সে তার দোকানে প্রায়শই আসত। সেই সূত্রেই তার পরিচয় হয় উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ছোটখাটো বিভিন্ন গাড়ির কাজ ঈশ্বরের দোকানে করাতেন উজ্জ্বল বাবু।
advertisement
আরও পড়ুন: ফারাক্কায় হঠাৎ এ কী ঘটল! হেলিকপ্টার থেকে অস্ত্র সহ নেমে এল ৭০-৮০ জন সেনা জওয়ান
কখনও কখনও তাকে বকশিস হিসেবে ৫০, ১০০ টাকা উপরিও দিতেন। উজ্জ্বল বাবু নিজেকে পরিবহন দফতরের আধিকারিক হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন। মোটামুটি সবকিছু ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ গত এপ্রিল মাসে উজ্জ্বল বাবু ঈশ্বর কুমারকে বলেন, ঝালদা পরিবহন দফতরের একটি নতুন অফিস হবে। কাজের জন্য সেখানে লোক লাগবে। দুই লক্ষ টাকা দিলে সেখানে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। প্রথমে খানিকটা খটকা লেগেছিল ঈশ্বর কুমারের। তাই তিনি প্রশ্ন করেছিলেন তিনি সামান্য এক গ্যারেজ মিস্ত্রি। আরটিও অফিসে কীভাবে চাকরি পাবেন তিনি?
আরও পড়ুন: পুলিশ চাইলে সব পারে! ফের প্রমাণ মিলল খড়দহে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়, জালে কংস! কে জানেন?
সেই সময় উজ্জ্বল বাবু তাকে জানিয়েছিলেন, আরটিও অফিসে অনেকেই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য বাইক নিয়ে টেস্ট ড্রাইভ দিতে আসে। সেইসব বাইকের ব্রেক, ইঞ্জিন, ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্যই লোক নিয়োগ হবে। তাই গ্যারেজ মিস্ত্রি হলেও এ কাজ তার হওয়া সম্ভব। উজ্জ্বল বাবুর সেই কথাতে বিশ্বাস করেই লোন নিয়ে উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় কে টাকা দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে চাকরি চাওয়াতে এড়িয়ে যেতে থাকেন উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে পুলিশের দারস্থ হন ঈশ্বর কুমার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোটশিলা থানার পুলিশ।