পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে ত্রিবেণী সঙ্গম। সেখানে হুগলি, হলদি ও রূপনারায়ণ নদীর মিলন হয়েছে। সেই স্থানে ভেসে আসা এক মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন পণ্য পরিবহণকারী নৌকার কর্মীরা। পরে মহিষাদল থানার পুলিশ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাঁকে সুস্থ অবস্থায় পরিবারের হাতে তুলে দেয়। উদ্ধার হওয়া মহিলার নাম প্রতিমা হালদার (৩৯)। তাঁর স্বামীর কুঞ্জ হালদার, বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার অন্তর্গত পানারহাট গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চা খাইয়ে রোগীর পরিজনদের লুঠ! মোবাইল-নগদ সব গায়েব, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পণ্য পরিবহনকারী একটি বড় নৌকা নদীপথে মাল আনতে যাচ্ছিল। নৌকায় থাকা কর্মীরা হঠাৎ দেখতে পান, হুগলি নদীর মাঝখানে এক মহিলা ভেসে রয়েছেন। মুহূর্তের মধ্যে নৌকার একাধিক কর্মী নদীতে ঝাঁপ দেন এবং ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নৌকায় তোলেন। এরপর নৌকার কর্মীরা দ্রুত তাঁকে গেঁওখালি ঘাটে এনে মহিষাদল থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে মহিষাদল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিমাদেবী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু কীভাবে তিনি নদীতে পৌঁছে গেলেন তা বুঝতে পারছেন না। মহিষাদল থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস জানান, ‘উদ্ধার হওয়া মহিলা সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিবারের সদস্যরা মহিষাদলে এসে তাঁকে নিয়ে যান।’ এই ঘটনার পর নৌকার কর্মী এবং মহিষাদল থানার পুলিশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।