কথাতেই রয়েছে ‘গরম এতই বেড়েছে উট ছুটছে সর্বত্র’। তবে সাধারণত উট রাজস্থানের মরীচিকাতে দেখা যায়। তবে মরীচিকা নয় বীরভূমের তীব্র গরমে এক টুকরো যেন রাজস্থানের ঝলক মিলল। কেউ যদি ইচ্ছে প্রকাশ করছেন তাহলে মিলছে উটের সাওয়ারি। ঠিক যেমনটা মেলে মরুভূমির রাজস্থানে। বীরভূমের লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে আহমদপুর যাওয়ার রাস্তায় এই উটটিকে দেখতে পায় সকলে। আর এই উট দেখতে ভিড় জমায় কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্করা।
advertisement
বীরভূমের বোলপুরে সকাল থেকেই দেখা মিলল উটের। গরমের মরশুমে তাই স্থানীয়রা টিপ্পনী কেটে বলছেন, ‘‘মরুভূমির সবই ছিল। শুধু উট বাকি ছিল। সেটাও এবার চলে এল। গরমের ষোলো কলা পূর্ণ হল।’’ কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে এল রাজপুতের দেশের প্রাণী? এই বিষয়ে যিনি এই উট নিয়ে এসেছিলেন সেই মন্সিদ জানান, তিনি বেনারস থেকে এসেছেন এবং তার এই উটটি তিনি কিনেছেন রাজস্থান থেকে। রাজস্থান থেকে বেনারস আসতে তার সময় লেগেছে প্রায়ই ৪৫ দিনের কাছাকাছি এবং সেখান থেকে সম্পূর্ণ রাস্তা পেরিয়ে বীরভূম আসতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ মাসের কাছাকাছি।
বীরভূমের বোলপুরে উট আসা মাত্র শুরু হয় হুড়োহুড়ি। উট দেখে বেজায় খুশি স্থানীয়রা। সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। লম্বা লাইন দিয়ে চলছে নিজস্বী তোলা। প্রবীণদের অনেকের স্মৃতি ফিরে আসছে উট দেখে। তবে এ সব কথায় পাত্তা দিতে নারাজ অল্পবয়সীরা। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়ারা ঠাট্টার সুরে বলছেন, উটের সঙ্গে ছবি তুলে গরমের সব কষ্ট ভুলে থাকা যাবে।
সৌভিক রায়