সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতি। সোমবার দিঘার জগন্নাথধামের প্রভু জগন্নাথের চরণে অর্পণ করা হবে প্রায় ৩০০ কেজি খোয়া ক্ষীর। দুপুরে রাজভোগের পর এই খোয়া ক্ষীর অর্পণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেই ক্ষীর রাজ্যের জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবে। সেখানেই এই প্রসাদি ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি হবে পেঁড়া এবং গজা। ইতিমধ্যে প্রসাদ বিতরণের প্রস্তুতি তুঙ্গে। দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের ঘরে পৌঁছে যাবে প্রভু জগন্নাথের প্রসাদ। বাক্সের মধ্যে থাকবে একটি পেঁড়া, একটি গজা ও দিঘার জগন্নাথ দেবের একটি ছবি।
advertisement
দিঘার এই মহাপ্রসাদ পেতে বর্তমানে রাজ্যজুড়ে আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষাও তুঙ্গে। যাবতীয় বিতর্কের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো জগন্নাথদেবের প্রসাদ যেন মাথায় করে রাখতে চাইছেন আধ্যাত্মিকতায় ভরপুর রাজ্যের মানুষ। রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে মনের শান্তি এবং ভগবানের প্রতি ভক্তি নিয়ে প্রভু জগন্নাথের আশিস সাদরে গ্রহণ করছেন রাজ্যের মানুষ। দিঘা জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য তথা কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমন দাস জানান, ‘মন্দিরেও জগন্নাথের প্রসাদ পেতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তা সত্যিই আধ্যাত্মিকতার একটি ভাল দিক।’
৩০০ কেজির খোয়া ক্ষীর পুজো দিয়ে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে প্রসাদ তৈরিতে। আর সেই প্রসাদ প্যাকেজিং এর মাধ্যমে পৌঁছে যাবে বাংলার ঘরে ঘরে। সমস্ত ধর্মের, বর্ণের, জাতির মানুষ পাবেন এই মহাপ্রসাদ। সঙ্গে থাকবে মন্দিরের ছবি। ১৭ জুন থেকেই জেলায় জেলায় বাড়ি বাড়ি এই প্রসাদ পেতে শুরু করবে সাধারণ মানুষ। উল্টোরথের মধ্যেই তা পৌঁছনো শেষ হবে। জানা যায় প্রসাদের বাক্সে থাকবে পেঁড়া, গজা। জেলায় জেলায় এই মিষ্টি তৈরি হবে স্থানীয় মিষ্টি দোকানেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই মহাপ্রসাদের মিষ্টি প্রস্তুত করা হবে। এই মহাপ্রসাদ তৈরির আগে ব্যস্ততা দিঘা জগন্নাথ ধামে।
সৈকত শী