যে বয়সে অন্যান্য শিশুরা ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। সেই বয়সেই বিভিন্ন পশু পাখির ডাক থেকে অন্যান্য কথা শুনে শুনে বলতে পারত। অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গড়গড়িয়ে ছড়া বলা থেকে নামতা, ইংরেজির অ্যালফাবেট থেকে সবকিছুই তার ঠোঁটস্থ। নিমেষেই বলতে পারে বিভিন্ন দেশের ফ্ল্যাগ দেখে দেশের নাম, ইংরেজিতে বারো মাসের নাম, সপ্তাহের সাত দিনের নাম, ছটি ঋতুর নাম, বিভিন্ন কবিতা-সহ একাধিক বিষয়ে আধো আধো কথায় নিমেষেই বলে ছোট্ট জিনিয়া। আধো আধো কথা বলতে পারার সময় থেকেই জিনিয়ার মস্তিষ্ক ছিল এতটাই ধারাল যে সবকিছু সহজে মনে রাখতে পারত।
advertisement
গড়গড়িয়ে বলতে পারে আবৃত্তি। তাও আবার একটা দুটো কবিতা নয়, একাধিক কবিতা তার মুখস্থ। শুধু তাই নয় আট মিনিটে ২০০ টি জেনারেল নলেজের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে জিনিয়া মান্না। বাড়ি কোলাঘাটের মহিষঘট গ্রামে। এই শিশু বয়সেই তার এই আশ্চর্য প্রতিভা দেখে পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়রাও মুগ্ধ।
মা বাবা আত্মীয়স্বজন সকলেই চান জিনিয়া আরও এগিয়ে চলুক নিজের পথে। ছোট্ট জিনিয়া মহিষগোট গ্রামের মানুষের কাছে এক অন্য আকর্ষণ। কথা বলতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই জিনিয়ার এই অভাবনীয় প্রতিভা প্রকাশিত হয়৷ তার পর থেকেই থেকে জিনিয়ার এই অভাবনীয় প্রতিভার পিছনে মা রুম্পা মান্না সবসময় সময় দিচ্ছেন। পাশাপাশি বাবা,দাদু, ঠাকুমাও বিভিন্নভাবে জিনিয়াকে সাধারণজ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন – উত্তর শেখান। সবমিলিয়ে কোলাঘাটের তিন বছরের ছোট্ট জিনিয়া যে আগামী দিনে বড় হয়ে জিনিয়াস হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।