আরও পড়ুন: রামমন্দির দেখবেন? মাত্র ১৪০০ টাকা খরচ করলে অযোধ্যায় যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়া সব ফ্রি
বাড়িতে অভাব। ছিটেবেড়ার বাড়িতে থেকে কোনওভাবে চলে দিন। ছোট থেকেই দু’চোখে দেখতে পান না। গান-বাজনার প্রতি শখ থাকায় মায়ের প্রচেষ্টায় গান শেখেন। প্রথমে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন একজন রামায়ণ শিল্পী হিসেবে। তবে ধীরে ধীরে লোকসঙ্গীত, বাউল গীতি গাইতে থাকেন। বিভিন্ন বাউল দলেও গান করেছেন, এখনও করে চলেছেন। তিনি সোনালী অধিকারী। গান গাইতে গিয়ে গুরুর পরামর্শে বিয়ে করেন দলের অপর এক সদস্য ভানু মেইক্যাপকে। এরপর থেকেই দিব্যি সুখের সংসার তাঁদের।
advertisement
ভানুবাবু গ্রামীণ দলে গান বাজনা করেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের শ্রীরামপুরে থাকেন তাঁরা। পেশাগতভাবে তিনি চালিয়ে রেখেছেন গ্রামীণ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। অন্ধ জেনেও একে অপরের প্রতি ভালোলাগা, ভালোবাসা থেকে আজ সুখী দাম্পত্য জীবন। নানান চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে আজ স্বাচ্ছন্দেই দিন কাটছে তাঁদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
একে অপরের পরিপূরক হয়ে বেঁচে আছেন তাঁরা। স্বামী তাঁর কাজের পাশাপাশি বাড়িতে স্ত্রী সোনালীকে সাহায্য করেন। রান্না ঘরের কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে মাদুর বোনেন সোনালী। তাঁকে সাহায্য করে স্বামী ভানু। এখনও একটি বাউল দলে গান করেন সোনালী। বিভিন্ন ঘরোয়া কিংবা গ্রামীণ অনুষ্ঠানেও গান গাইতে যান। পেশাগত শিল্পী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন দুচোখ অন্ধ এই গৃহবধূ। এভাবেই চলছে তাদের সংসার।
রঞ্জন চন্দ