তবে তাঁর ছেলে অভিষেক মুখার্জীর উচ্চ শিক্ষার জন্য এই বয়সে টোটোর হ্যান্ডেল ধরতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৫ সাল থেকে বাঁকুড়া শহরের লক্ষতোরা টোটো স্ট্যান্ডে দিনের পর দিন নিজের ভাঙাচোরা টোটোটি নিয়ে হাজির হন নিয়মিত। ঝড় জল উপেক্ষা করে টোটো বোঝাই করে এদিক ওদিক নিয়ে যান প্যাসেঞ্জার।
ট্রাম্পের নীতিতে তিতিবিরক্ত! আর থাকা যাচ্ছে না… আমেরিকা ছাড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নোবেলজয়ী, জানেন কে?
advertisement
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
ভাল নাম সুচিত্রা হলেও সকলের কাছে “পুতুন দি” নামেই পরিচিত এই মহিলা টোটো চালক। জানলে অবাক হবেন, তৎকালীন সময়ে পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন সুচিত্রা মুখার্জী ওরফে “পুতুন দি”। বর্তমানে টোটো চালিয়েই চলছে তাঁর সংসার। বাঁকুড়া শহরের সানবাঁধা এলাকার বাসিন্দা সুচিত্রা মুখার্জীর। বাড়ির সামনেই একটি টিনের চালের তলায় রাখা থাকে তাঁর জরা জীর্ণ সবুজ রঙের বিখ্যাত টোটো।
টোটো চালকদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে টোটোর বাজারে যথেষ্ট প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতার মধ্যে একজন মহিলা হয়ে ২০১৫ সাল থেকে টিকে থাকা চাট্টি খানি কথা নয়। নতুন প্রজন্মের টোটো চালকরা সিনিয়র এই মহিলা টোটো চালকের কাছে বিভিন্ন টিপস অ্যান্ড ট্রিকস নেয় বলেই জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা বিশেষ করে মহিলা যাত্রীরা পুতুন দি’র জীবন যুদ্ধ দেখে অনুপ্রাণিত হন।
পঞ্চায়েতে সমিতির খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন সুচিত্রা মুখার্জী ওরফে “পুতুন দি”। সেই সময় কেমন ছিল পঞ্চায়েত জানতে চাওয়ায় তিনি জানান, অর্থের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। অনেকেই দাবি করেন তিনিই হলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা টোটো চালক। অজুহাত নয়, পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঁকুড়ার রাস্তায় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এখনও শক্ত হাতে টোটোর হ্যান্ডেল ধরে আছেন পুতুন দি।