ট্রাম্পের নীতিতে তিতিবিরক্ত! আর থাকা যাচ্ছে না... আমেরিকা ছাড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নোবেলজয়ী, জানেন কে?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতি ও গবেষণার তহবিল কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আমেরিকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক নোবেলজয়ী। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত! কে বলুন দেখি? আন্দাজ করতেই পারবেন।
স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা পর্ব শেষ হল। আনুষ্ঠানিকভাবে “ফিজিওলজি অর মেডিসিন”-এ নোবেল পুরস্কার নামে পরিচিত এই সম্মান ১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৫ বার প্রদান করা হয়েছে ২২৯ জন বিজ্ঞানীকে। অর্থনীতিতে নোবেল স্মৃতি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ অক্টোবর, ২০২৫। তার আগেই বাঁধল গন্ডগোল।
advertisement
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতি ও গবেষণার তহবিল কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আমেরিকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক নোবেলজয়ী। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত! কে বলুন দেখি? আন্দাজ করতেই পারবেন।
advertisement
এক দিকে নিজেকে বারবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য বলে দাবি করেও স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন হুগো সাভেজ ও নিকোলাস মাদুরোর কট্টর সমালোচক ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
advertisement
তবে একেবারেই নিরাশ হতে হল না ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেই এমন কাণ্ড করলেন মারিয়া কোরিনা, চমকে গেল গোটা বিশ্ব! মুখে হাসি ট্রাম্পেরও! বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করেন মারিয়া স্বয়ং।
advertisement
এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র অর্জনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমেরিকার জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলিই আমদের প্রধান মিত্র। শুধু ভেনিজুয়েলার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণ নয়, আমাদের লক্ষ্যকে দৃঢ়ভাবে সমর্থনের জন্য এই পুরস্কার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও উৎসর্গ করছি।’
advertisement
শান্তিতে নোবেলজয়ীর এই প্রতিক্রিয়া সামনে আসার পরই বিশ্বজুড়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নোবেল কমিটি বলেছে,‘ ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মুহূর্তেও গণতন্ত্রের শিখা নিভতে দেননি। শান্তির প্রদীপ অক্ষত রেখেছেন অকুতভয় মারিয়া। বিগত দু’দশকের এই ভয়ডরহীন লড়াইয়েরই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।’ তার মধ্যেই আর এক সমস্যার উদ্রেক। শান্তিতে নেই ট্রাম্প।
advertisement
এ বছর আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নতুন অর্থনৈতিক নীতি এবং “Make America Great Again” প্রচারের জেরে মার্কিন শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে ব্যাপক অর্থছাঁটাই শুরু হয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই ৬.৯ থেকে ৮.২ বিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান বাতিল করেছে।
advertisement
এই নীতির প্রভাবে আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই তীব্র অর্থাভাবের মুখে পড়েছে। পিএইচডি ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক গবেষণা প্রকল্প। ফলে অনেক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষক দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন।
advertisement
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী সৃষ্টি দুফলো। তাঁরা ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) থেকে ইস্তফা দিয়ে সুইজ়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখে (UZH) নতুন একটি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করবেন।
advertisement
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৃষ্টি দুফলো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন MIT ছেড়ে ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখের অর্থনীতি বিভাগে যোগ দেওয়ার। শুক্রবার জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই থেকে তাঁরা UZH-তে যোগ দেবেন।
advertisement