অনেক সময় আমরা বাইরে ঘুরতে গিয়ে বাইক চোখের পলকের সামনে না রাখতে পারলেও হয়তো দূরে রাখতে হয়! এরই মধ্যে একটা ভয় কাজ করে মনে, এই বুঝি বাইকটা বেহাত হল! এই পরিস্থিতিতে রনির তৈরি বাইক আপনাকে সত্যিই ভাবাবে। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন আসানসোলের ছেলে।
ছোট থেকেই নেশা ইলেকট্রিক্ট জিনিসে। ইচ্ছে ছিল কিছু করে দেখানোর। আসানসোল মহকুমার কাল্লা আদর্শ পল্লীর মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রনি দত্ত। বাবা প্রদীপ দত্ত পেশায় মুদিখানা দোকানের একজন সেলসম্যান। মা রীতা দত্ত গৃহকর্ত্রী। ছোট্ট বাড়ির মধ্যেই বসবাস তাঁদের। কিন্তু স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার।
advertisement
আর তাই করেই দেখালেন রনি। তিনি বর্তমানে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমা প্রাইভেট আইটিআই কলেজে ইলেকট্রিক্ট ফিল্ডে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে। কলেজের একটি প্রজেক্ট ওয়ার্ক ছিল। সেই প্রজেক্টে মাত্র ১২০ দিনে নিজেই এমন বাইক তৈরি করে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন- যে ‘স্বপ্ন’ পূরণ হয়নি যৌবনে…! বাইকে চেপে লাদাখ ঘুরছেন বৃদ্ধ দম্পতি, বয়স তো স্রেফ সংখ্যা
এই বাইকে প্রথমত নেই কোনও চাবি।, বাইকে রয়েছে ফেস ক্যাচ করার সিস্টেম। বাইকের আসল মালিকের সঙ্গে মুখের গড়ন মিললে তবেই চলবে বাইক। সম্পূর্ণ মোবাইল-এর মাধ্যমে আয়ত্ত্বে থাকবে বাইক। আরও চমক হচ্ছে, কোনও চোর যদি বাইকটি স্টার্ট করে নিয়ে চলেও যায়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে রনির মোবাইলে চলে আসবে একটি মেসেজ। ফোন দিয়ে সেই বাইকের পিছন চাকা লক অর্থাৎ হাইলি জাম করে দেওয়া যাবে।
কেউ ঠেলে নিয়েও যেতে পারবে না। বাইকের সম্পূর্ণ লাইভ লোকেশন পাওয়া যাবে বাড়িতে বসেই। এর পরে আপনি খবর দিতে পারবেন পুলিশকে। এই সাফল্যের জন্য কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে তাঁর বাবা মা, প্রতিবেশি সকলেই খুশি।
রিন্টু পাঁজা