আরও পড়ুনঃ রোজ একটা করে মুসাম্বি! তরতর করে কমবে ওজন, বাড়বে হজমশক্তি! জানুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মুর্শিদাবাদ শহরে এক ঐতিহ্য হল ঘোড়ার গাড়ি। অনেকেই টোটো ছেড়ে এই ঘোড়ার গাড়িতে চেপেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিহাসের স্বাদ নিতে উপস্থিত হন। আর শীতের মরশুমে মূলত তাদের সুদিন আসে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে এই ভরা মরশুম। এক সময় ‘ঠিকা গাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল ঘোড়ার গাড়ি। আগে ঘোড়ার গাড়ি নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও আধুনিকতার ছোঁয়াতে ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে কমে গেছে এর যাত্রীও। লালবাগ শহরে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই ঘোড়ার গাড়ি। অনেক মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার জন্য লালবাগ শহরে আসে। প্রাচীন কালে যখন যন্ত্রচালিত বাহন ছিল না, তখন মানুষ পশুচালিত গাড়িতে করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করতো। শুধু তাই নয়, জমিদার ও নবাবের বাহন ছিল এটি। কিন্তু আজ আর নবাব নেই। কিন্তু মুর্শিদাবাদ শহরে এলেই মিলবে নবাবের স্বাদের এই ঘোড়ার গাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অ্যানিমিয়ার ‘যম’…! খালি পেটে আধ চামচ খেলেই দূর হাই প্রেশার! কমবে হৃদরোগের চান্স
মুর্শিদাবাদ শহরের ঐতিহাসিক স্থান একাধিক দর্শনের জন্য বিভিন্ন রকম টাকার অর্থধার্য্য করা হয়ে থাকে ঘোড়ার গাড়ির। প্রতিজন পিছু সেই ভাড়া নির্দিষ্ট থাকে এক দিনের জন্য। নবাবের শহরে এলে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে ঐতিহাসিক স্থান দর্শন করে থাকেন পর্যটকরা। ঘোড়ার গাড়ির চালকদের দাবি, নবাবী ঐতিহ্য বহন করে চলছি আমরা যুগ যুগ ধরে মুর্শিদাবাদের বুকে। পর্যটকদের শহরের নানান দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করিয়ে থাকি। তবে শীতের মরশুমে এসে ঘোড়ার গাড়ি চেপে ঐতিহাসিক স্থান দর্শন করুন চাইছেন টাঙ্গা চালকরা।
কৌশিক অধিকারী