শনিবার সকাল থেকে বেলপাহাড়ির গভীর জঙ্গলে ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকমত না থাকার কারণে জিনাতকে খুঁজে পাচ্ছিল না বনদফতরের কর্মীরা। পরে অবশ্য সন্ধ্যে নাগাদ গাড়রাশিনি পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় জিনাতের গতিবিধি ধরা পড়ে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের ট্রেকার।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
শনিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের পক্ষ থেকে বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত জঙ্গল সংলগ্ন জুয়ারধরা, জবলা, ছুরিমারা, মানিয়ার্ডি , তেলিঘানা, ওড়লী, দলাদলি, আমলাশোল, ময়ূরঝর্ণা , কাঁকড়াঝোর এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
advertisement
জানা গিয়েছে, ময়ূরঝর্ণা, বকডুবির জঙ্গলের সঙ্গেই রয়েছে পুরুলিয়ার জঙ্গল। শনিবার গভীর রাতে ময়ূরঝর্ণার জঙ্গল পেরিয়ে পুরুলিয়া জেলার রায়কির জঙ্গলে ঢুকে পড়ে বাঘিনী জিনাত। রায়কির পাহাড় ,শাল জঙ্গলে প্রায় ২০০ হেক্টর এলাকা গভীর জঙ্গল রয়েছে। পুরোটাই সেডো জনের আওতায়। ঠিকমত কাজ করে না ইন্টারনেট পরিষেবা। গভীর জঙ্গলে যাওয়ার নেই কোনও রাস্তা। ফলে জিনাতকে খুঁজে পাওয়া আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যেতে পারে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের কর্মীদের কাছে।
প্রসঙ্গত, ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে বাঘিনী জিনাত রোমিং করার সময় ঝাড়খন্ড রাজ্যের চাকুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাঁসার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। বেশ কয়েকদিন রাজাবাঁসার জঙ্গলে থাকার পর জিনাত শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত কটুচুয়া এলাকায় ঢুকে যায়। তারপর শনিবার সকাল থেকে জিনাতের আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। কেবলমাত্র জুয়ারধরা গ্রামের কাছে জিনাতের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বনদফতরের কর্মীরা পাঁচ থেকে ছয়টি ভাগে ভাগ হয়ে ট্রেকারের মাধ্যমে জিনাতের সন্ধান করতে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যায় গাড়রাশিনি পাহাড়ে কাছে জিনাতের হদিস পাওয়া গিয়েছে। রবিবার সকালে জানা যায় ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে জিনাত পুরুলিয়া জেলায় ঢুকে পড়াই যথেষ্ট স্বস্তি ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের কর্মীরা।ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন,” ঝাড়গ্রাম জেলায় এখন বাঘিনী নেই। শনিবার গভীর রাতে বেলপাহাড়ি জঙ্গল থেকে পুরুলিয়ার জঙ্গলে চলে গিয়েছে”।
বুদ্ধদেব বেরা