এই সমস্ত পাখিদের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রজাতির পাখি প্রধানত জলাশয়, খাল বিল, নদ নদীর জলেই নিজেদের বাসা তৈরি করে দলবদ্ধভাবে থাকে। জল থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করে নেয়। আবার কিছু প্রজাতির পাখিরা নদীর পার্শ্ববর্তী চাষজমিতে সারাদিন খাবার সংগ্রহ করে বেড়ায়। কিছু সময় এরা জলেও থাকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও বর্ধমান অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক অর্ণব দাস জানিয়েছেন, নভেম্বরের গোড়া থেকেই একটি দুটি করে পরিযায়ী পাখির আসা শুরু হয়েছে এই সমস্ত এলাকায়। তবে ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা এখন অনেকটাই বেড়েছে।
advertisement
যে সমস্ত পরিযায়ী পাখি ইতিমধ্যেই দামোদরের বুকে নেমেছে তাদের মধ্যে অন্যতম রুডি শেল ডাক (rudy shell duck), অস্প্রে (osprey), রেড ক্রিস্টেড পোচার্ড (red crested pochard), গাড ওয়াল (gadwoal), বার হেডেড গুস (bar headed goose)। এছাড়াও হাঁস প্রজাতির একাধিক পরিযায়ী পাখিদেরও এখানে দেখা মিলছে। তার মধ্যে গ্রে লেগ গুস (grey leg goose), কটন পিগমি গুস (cotton pigmy goose), স্মল প্যাটিনকোল (small patincole) লেসার হুইসল ডাক (lesser whisel duck) রয়েছে।
এরা প্রধানত নদী, খাল বিলের জলে থাকে। অন্যদিকে ব্লু থ্রোট (blue throte), রুবি থ্রোট (Ruby thorote), হোয়াইট আই বুচার্ড (white eye buzzard), গ্লসি আইবিস (glossy ibis) এরা নদীর পার্শ্ববর্তী চাষ জমিতে সারাদিন খাবার সংগ্রহ করে বেড়ায়। অল্প সময়ই জলে কাটায়।
আরও পড়ুন, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মান্দাস! শীতের শুরুতে কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া? জানুন পূর্বাভাস
এই সমস্ত পাখিদের দল তিব্বত, সাইবেরিয়া, মায়ানমার, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মাইল পথ উড়ে আসে খাবারের সন্ধানে। সাধারণত নভেম্বর থেকে প্রায় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত এই পরিযায়ীদের দল দামোদর নদের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আস্তানা গেড়ে বসবাস করে।
আরও পড়ুন, G-২০র লোগোয় 'বিজেপি-র পদ্ম'! বাঘ-ময়ূর কী দোষ করল, প্রশ্ন মমতার
জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই শতাধিক পরিযায়ী পাখিদের ভিড় শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন প্রকৃতিপ্রেমী থেকে পরিবেশবিদরা।