আরও পড়ুনঃ লম্বা ছুটি পাননি? হাতে জাস্ট দুদিন? আপনার জন্য রইল শীতে পারফেক্ট ডেস্টিনেশনের হদিশ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২০১৯ সালের পর এই বছর হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা।পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা ফিরে আসায় এবছর রেকর্ড ভিড় হতে চলেছে শান্তিনিকেতনে! এই মেলাকে কেন্দ্র করে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বোলপুর ও শান্তিনিকেতনের অধিকাংশ হোটেলের ভাড়া বাড়ছে প্রায় দেড় থেকে দ্বিগুণ। পর্যটকদের বহন করতে হবে খাবারের খরচ ও ট্যাক্স। বেশি ভাড়া দিয়েও যে পর্যটকরা হোটেল পাবেন তারও কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ ইতিমধ্যেই হোটেলগুলির বুকিং প্রায় শেষের দিকে। বোলপুরের এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান বছরের অন্যান্য দিন যেরকম ভাড়া রাখা হয় সে রকম ভাড়া রাখা হয়েছে তার হোটেলে।”তবে অন্যান্য হোটেলে তুলনামূলকভাবে কোথাও যেন কম কোথাও যেন বেশি ভাড়া রাখা হয়েছে।
advertisement
শুধুই যে হোটেল ভাড়া বাড়ছে অথবা কমছে এমনটাও নয় মেলার সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ বাড়বে টোটো ভাড়াও।টোটো চালক সংবাদ মাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘মেলার সময় মূল রাস্তা দিয়ে টোটো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।যার জন্য আমাদেরকে প্যাসেঞ্জার নিয়ে ঘুরে যেতে হয়।এছাড়াও এটা আমাদের ব্যবসার সিজিন তাই মেলার দিনগুলোতে টোটো ভাড়া দের থেকে দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়।’ সাধারণত স্টেশন থেকে মেলার মাঠ যেতে ভাড়া থাকে ১০০ টাকা। কিন্তু মেলার সময়ে ভাড়া হবে ১৫০-২০০ টাকা।
আরও পড়ুনঃ আর লাগবে না দুধ-চিনি, সস্তার মশলার ‘স্পেশ্যাল চা’-খেলেই হবে কামাল! সর্দি-কাশি পালাবে বাপ বাপ বলে…
তবে কীভাবে পৌঁছাবেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতন! এই বোলপুর শান্তিনিকেতন আপনি খুব অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবেন।শিয়ালদা হাওড়া অথবা কলকাতা স্টেশন থেকে যে কোনও ট্রেন ধরে আপনি সোজা পৌঁছে যান বোলপুর স্টেশন।সেখান থেকে আপনি যে কোনও টোটো ভাড়া করে আপনি ঘুরতে পারেন বোলপুর শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এই মেলা দর্শনে এলে অবশ্যই আগে থেকে সতর্ক হয়ে এবং হোটেল বুকিং করে আসবেন।
সৌভিক রায়