মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে রুবেলের সঙ্গে হালিমার বিয়ে হয়। তাঁদের বছর দুয়েকের কন্যাসন্তান রয়েছে। রুবেল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পারার পরই প্রতিবাদ করেন হালিমা। তা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি প্রায়ই হত। শনিবার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে হালিমার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
advertisement
রুবেল মৃতের পরিবারকে জানান, তাঁর স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হালিমার পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করেছেন রুবেল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। এই ঘটনার পর মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হালিমার উপর নিয়মিত অত্যাচার চালাতেন তাঁর স্বামী। এর আগে একবার হালিমাকে মাথার চুল কেটে ন্যাড়াও করে দেন। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ।
আর এদিকে ঘটনার মোড় অন্য দিকে নিতেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় রুবেল। পুলিশ গ্রামে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।