বাঁকুড়া জেলার এই তালডাংরা ব্লক বাঁকুড়ার পর্যটনের ক্ষেত্রে খুবই অবহেলিত কিন্তু জানলে আপনি অবাক হবেন যে এই ব্লকেই পেয়ে যাবেন পশ্চিমবঙ্গের বৃন্দাবন, ঐতিহাসিক শিল্প গ্রাম এবং দুর্দান্ত এক রাজবাড়ি।
পুরানো এবং বর্ধিষ্ণু ও টেরাকোটা শিল্পীদের গ্রাম হল পাঁচমুড়া। খাতড়া মহকুমার তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া ‘টেরাকোটা’ গ্রাম। দেউলভিড়া, আধকড়া, রাধানগর, কানাইপুর, জয়পুর। পাঁচমুড়ার পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও সেই কারণেই এমনটা। পাঁচটি মাথা অর্থাৎ স্থানীয় ভাষায় যাকে \”মুড়া\” বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল এই গ্রামের। মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালডাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়েছে।
advertisement
বাঁকুড়ার পরিচিতি, মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী, মাটি দিয়ে এই সব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। পাঁচমুড়ার টেরাকোটা পেয়েছে জিআই স্বীকৃতি। পাঁচমুড়ার ঘোড়ার নাম পৌঁছে গেছে বিশ্বের দরবারে।
ত্রিধারা মিলন মন্দির হল রাধা ও কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি হিন্দু মন্দির। বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ায় অবস্থিত এই মন্দিরকে কখনও কখনও দ্বিতীয় বৃন্দাবনও বলা হয় এবং এটি তিনটি প্রধান সম্প্রদায়ের মিলনস্থল : শৈব , বৈষ্ণব এবং শক্তি। সেই কারণেই নাম ত্রিধারা।
পাঁশকুড়া গ্রাম থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই মন্দির। মন্দিরে ঢুকলে আপনার আধ্যাত্মিক রস জেগে উঠবে। এছাড়াও তালডাংরা ব্লকে রয়েছে একাধিক জঙ্গল এবং সিমলাপল রাজবাড়ি। অর্থাৎ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে যথেষ্ট পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে এই ব্লকের যা এখনও যথেষ্ট পরিচিতির অভাবে হয়ে ওঠেনি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী