তবে অবাক হলেও আদতে এটাই সত্যি। কিন্তু আমের আঁটি কেন বিক্রি হয়? কী করা হয় এই আমের আঁটি দিয়ে? কারা সংগ্রহ করেন এই জিনিস? চলুন জেনে নেওয়া যাক। আসলে আমের আঁটি কেনেন রাজ্য-সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন নার্সারির মালিকেরা।
advertisement
আমের আঁটি কিনে সেইগুলো থেকে আবার নতুন করে তাঁরা গাছের চারা তৈরি করেন। পরবর্তীতে বিক্রি হয় সেই সমস্ত গাছের চারা। বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে হাতেগোনা কয়েকজন আড়তদার রয়েছেন যাঁরা এই আঁটি স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পাইকারদের বিক্রি করেন। এই বিষয়ে আড়তদার রাজেন্দ্র রাজবংশী বলেন, স্থানীয়রা আঁটি কুড়িয়ে এনে আমাদের বিক্রি করে। আবার ভিন রাজ্যের পাইকাররা এসে আমাদের কাছ থেকে আঁটি কিনে নিয়ে যায়। এক দুমাস এর জন্য শুধু এই ব্যবসা হয়।
আম খাওয়ার পর সাধারণত আমের আঁটি ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ফেলে দেওয়া আমের আঁটি কুড়িয়েই অর্থ উপার্জন করছেন পূর্বস্থলী এলাকার বহু মানুষ। এমনকি মহিলারাও বর্তমানে এই আঁটি কুড়ানোর কাজ করছেন। ভোর হলেই তাঁরা ঝোলা অথবা বস্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তারপর ট্রেনে , বাসে দূর দূরান্ত ঘুরে কুড়িয়ে নিয়ে আসেন ফেলে দেওয়া আমের আঁটি। পরবর্তিতে তাঁরা আড়তদারদের সেই আঁটি বিক্রি করেন।
এই কাজে যুক্ত সুলেখা মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, আঁটি কুড়ানোর জন্য আমাদেরও অনেক দূর দূরান্ত যেতে হয়। এই কটাদিন আমাদেরও কিছু রোজগার হয়। গরীব মানুষ তাই আঁটি কুড়িয়ে রোজগার করি, তা দিয়েই পেট চলে। আমাদের সঙ্গে আরও অনেক মহিলা এই কাজ করে।
এভাবেই বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা অর্থ উপার্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। ফেলে দেওয়া আমের আঁটিরও কদর বেড়েছে বর্তমানে। বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে ফেলে দেওয়া আমের আঁটি পাড়ি দিচ্ছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম-সহ বাংলার অন্যান্য জেলায়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী