সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে মোবাইলের মিস কল মাধ্যমে সাগরের হেঁডলকেটকির বাসিন্দা বাবুল দাসের সঙ্গে নদীয়ার এক যুবকের পরিচয় হয়। নদীয়ার ওই যুবক নিজেকে গোপাল নামে পরিচয় দেয়। মোবাইলের সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি সাগরে বাবলুবাবুর বাড়িতে আসেন। তিনি দুই রাত সেখানেই ছিলেন।
উৎসবের রাত আতসবাজি, সেলফিতে মজে…ট্রেনের হর্ন শুনতে পেল না কেউ! পিষে গেল ৬১ প্রাণ!
advertisement
কালীপুজোয় বিপদসীমা পেরোল কলকাতার দূষণ! সবচেয়ে সংকটে কোন এলাকা?…দেখে নিন AQI রিপোর্ট
এরপর নদীয়ার ওই যুবক বাবলু বাবুর ১১ বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করার নাম করে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই ওই যুবক মোবাইলের সুইচ বন্ধ করে দেন। এদিকে গোপাল বাবুর পরিবারের লোকজন দীর্ঘ সময়ে ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু কোনভাবেই ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এমনকি তিনি বাড়িতেও ফেরেননি। শেষ পর্যন্ত বাবলু বাবু সাগর থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছিল ওই যুবক শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে কচুবেড়িয়ায় গিয়েছে।
এরপরই সে ভেসেল পেরিয়ে লট নম্বর আটে যায়। সেই ফুটেজও পুলিশের হাতে আসে। সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টি হারউড পয়েন্ট কোস্টাল ও কাকদ্বীপ থানায় জানান হয়। যৌথভাবে সব থানার পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত কাকদ্বীপ স্টেশনের কাছ থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বেগতিক বুঝে নদীয়ার ওই যুবক পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
এদিকে পুলিশ জানতে পেরেছে, নতুন মোবাইল ও টাকা দেওয়ার নাম করে ওই যুবক শিশুটিকে ভুলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিশুটিকে পাচার করে দেওয়ার মতলব ছিল। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভুমিকায় খুশি সকলেই।