সাইবার থানার পুলিশ জানিয়েছে, আপনার যদি মনে হয়, কোনও প্রতারকের কবলে পড়েছেন বা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ লেনদেন হয়েছে, তা হলে যত দ্রুত সম্ভব তা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করুন। আপনার মেসেজ বা ইমেলে কোনও অপরিচিত নম্বর বা আইডি থেকে লিঙ্ক আসে, তাহলে তা ক্লিক করবেন না।
অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পরিষেবার নামে এই সব লিঙ্কের মাধ্যমে টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। অচেনা নম্বর থেকে আসা মেসেজ ডিলিট করে দিন। কোনও পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে আসা মেসেজে ভুলেও ক্লিক করবেন না। এর পাশাপাশি ফোন করেও স্ক্যামাররা প্রতারণার চেষ্টা করে।
advertisement
আরও পড়ুন- ২২৪ রানে অলআউট ভারত, এবার বোলারদের হাতেই সব! ওভালে চাপ বাড়ছে গিলদের উপর
এই ধরনের নম্বর বুঝতে পারলে দ্রুত ব্লক করে দিন। বা নম্বর নিয়ে অভিযোগ দায়ের করুন। অপরিচিত কাউকে চেক ভাঙাতে দেওয়ায় বেশ ঝুঁকির কাজ। প্রতারণা থেকে বাঁচতে তাও এড়িয়ে চলুন। নবগ্রাম থানার তৎপরতায় উদ্ধার হল লক্ষাধিক টাকা। সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশের এই ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী। নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামের দুই বাসিন্দা সুদীপ হালদার ও ভারতী ঘোষ সম্প্রতি ব্যাংক প্রতারণার শিকার হন।
প্রতারকেরা কৌশলে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয় প্রায় দুই লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। ভুক্তভোগীরা সঙ্গে সঙ্গে নবগ্রাম থানায় ও সাইবার ক্রাইম দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নবগ্রাম থানার পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম সেল। তদন্তে উঠে আসে প্রতারণার মূল চক্র উত্তরপ্রদেশে। তৎপরতার সঙ্গে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে পুলিশ এবং উদ্যোগ নিয়ে পুরো টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, “আমরা ভেবেছিলাম টাকাটা আর ফেরত পাব না। কিন্তু নবগ্রাম থানার পুলিশ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, সত্যিই কৃতজ্ঞ।” নবগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সৌরভ সেন জানিয়েছেন, “অভিযোগ পেয়েই আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করি। মানুষের টাকা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও আমরা সাইবার অপরাধ রুখতে বদ্ধপরিকর।”
তন্ময় মন্ডল





