সাধারণ ভাবে বলা যেতে পারে, যতদূর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের আয়ত্তে আছে, ঠিক তার পর থেকেই যেন শুরু অ্যাডভেঞ্চার। যদিও বর্তমান সময়ে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পাহাড় থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে মানুষ। সেই দিক থেকে পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রসৈকত পেরিয়ে এবার মরুভূমি অভিযান।
আরও পড়ুন: কন্যাহারা কিংবদন্তি সুরকার! অকাল প্রয়াণ ভবতারিণীর, বিদেশেও বাঁচানো গেল না জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়িকাকে
advertisement
মরুভূমিতে একটানা পাঁচদিন ধরে পায়ে হেঁটে পারি দিল হাওড়ার একটি অ্যাডভেঞ্চার সংগঠনের ১০ সদস্য। জানা যায়, রাজস্থানের জয়সলমীর জেলার খুঁড়িগ্রাম থেকে শুরু হয় এই মরু অভিযান। অভিযাত্রীদের কথায় জানা যায়, একের পর এক ঝুরো বালির পাহাড় অতিক্রম করে পাঁচদিনে প্রায় ৮০ কিলোমিটারের বালি পথ। এই অভিযান শেষ হয় খুঁড়ি গ্রামেই। দিনে ঠান্ডা রোদ আর রাতে কনকনে ঠান্ডা। অভিযানে রাত কাটানো থেকে রান্না, খাওয়া দাওয়া সব কিছুতে তাঁবুই ছিল অভিযাত্রীদের একমাত্র ভরসা।
খুড়ি গ্রাম থেকে শুরু করে একে একে তালাও কি ঢানি, থর কি ঢানি, মানেরি, নিম্ব কি ঢানি-সহ একাধিক নাম না জানা অঞ্চল পায়ে হেঁটেই অতিক্রম করতে হয়। ঝুরো বালির চড়াই উৎরাই রাস্তা ধরে এগোতে এগোতে বারবার জলকষ্টের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। কখনও গরম, আবার কখনও কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বিঁধছে যাত্রীদের শরীরে। পায়ের জুতো বোঝাই ঝুড়োবালি বাধা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে বালিতে মিশে থাকা চোরকাঁটা জুতো ও পায়ে বিঁধে চলার পথে বাঁধা। কখনও বালির ঢিপি, আবার কখনও কাঁটা জঙ্গল পথ। দিনের ১০-১২ ডিগ্রি তাপমাত্রা যা রাতে ২-৩ ডিগ্রি ঠান্ডা, যেখানে বালিও কার্যত বরফ ঠান্ডায় পরিণত হচ্ছিল।
এই অভিযানে ৯ জন পুরুষ অভিযাত্রীর সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা অভিযাত্রীও। অভিযাত্রীদলের অধিনায়ক উজ্জ্বল দাস বলেন, সমুদ্র সৈকত ও পাহাড়ের ট্রেকিং সচরাচর হয়ে থাকে। সেই বাঁধাধরা অভিযান থেকে বেরিয়ে মরুভূমির রুক্ষ সুন্দর্যকে উপভোগ করতেই এই অভিযানে আসা। জলকষ্ট, ঝুড়োবালি থেকে ঠান্ডা, সব বাধাকে অতিক্রম করাই তো অ্যাডভেঞ্চার।
রাকেশ মাইতি