মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। স্থানীয়রাও ছুটে আসেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিঘা থানায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মৃতদেহটি ঝাউবনের ভেতর থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পাশেই একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। ব্যাগের ভিতর পাওয়া গিয়েছে কিছু পোশাক ও একটি কীটনাশকের বোতল। এই সূত্র ধরেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষক্রিয়ার ফলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
advertisement
তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। স্থানীয়দের মধ্যে কেউই তাঁকে চেনেন না। ফলে মৃত যুবক স্থানীয় নাকি বাইরের রাজ্যের, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দিঘা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। মৃতদেহের পাশে যে জিনিসপত্র মিলেছে, সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আশপাশের হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলির রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সম্প্রতি কোনও যুবক একা ঘর বুক করেছিলেন কিনা। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।