ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষে ‘কমলা সুরক্ষা’-র (Raksha Orange) অঙ্গ হিসেবে সুন্দরবন পুলিশ জেলার ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশ ও ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির জওয়ানরা নদী ও সমুদ্রে যৌথ টহলদারি চালাচ্ছে।
ফ্রেজারগঞ্জ থানার এফআইবি দিয়ে মোহনা, স্থানীয় ফেরিঘাট ও সমুদ্রপথে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলছে এই নজরদারি। নজরদারি চালানোর সময় নদী ও মোহনাতে সন্দেহজনক কোন নৌকা বা জলযান দেখলে জিজ্ঞেসাবাদ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের সব উপকূল থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের জল সীমানা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। এই পথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নদী ও বনভূমি এলাকায় বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি চলছে।
ড্রোন, সেন্সর, ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরাও ব্যবহার হচ্ছে। পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে। উপকূলীয় থানাগুলির পক্ষ থেকে নদীপথে রাতেও নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে।
নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচলের কথা নয়। সেজন্য জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজেও পুলিশি তল্লাশি চলছে।
আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশি নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী এবং স্থলপথে পুলিশি টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা তল্লাশি চলছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে উপকূলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।
Nawab Mullick