স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ক্লাবের কালীপুজোর কাজ সেরে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন পাপাই। দীপাবলির আলোয় বাড়ি সাজাতে তিনি বাড়ির চারপাশে টুনি ল্যাম্প ঝুলাচ্ছিলেন। সেই সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লাগতেই তিনি তীব্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত নাড়াজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পাপাই দাস অরুণ দাসের পুত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: লন্ডনের বুকে একটুকরো কলকাতা! কালী আরাধনায় তুফান তুলতে প্রস্তুত প্রবাসী বাঙালিরা, আয়োজন না জানলে মিস
পশ্চিম মেদিনীপুরের মৃত যুবক বিবাহিত এবং এক কন্যাসন্তানের পিতা ছিলেন। পরিবারের জানা যায়, তাঁর স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। আরও এক সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ এই মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পাপাই ছিলেন অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সহৃদয় মানুষ। এলাকার যে কোনও প্রয়োজনে, বিপদে-আপদে সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন তিনি। তাঁর অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ সমগ্র নাড়াজোল গ্রাম। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না, এমন হাসিখুশি এক তরুণ এভাবে চলে যেতে পারেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দীপাবলির আনন্দমুখর দিনে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আলো উৎসবের রাতে নাড়াজোলে এখন শুধু একটাই প্রশ্ন— “কেন এমন হল?”