অনেকে ভুলভাবে বিশ্বাস করেন, কচ্ছপের মাংস খেলে নাকি শরীরের রোগ কমে। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ধারণা পুরোপুরি ভ্রান্ত। বরং এই প্রাণীটিকে জীবিত রেখেই মানুষের বেশি উপকার হয়। ওয়াইল্ড লাইফ রিকভারি টিমের সদস্য মলয় ঘোষ জানান, কচ্ছপ জলাশয়ে থাকা ডেঙ্গি মশার লার্ভা খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে মশা বাড়তে পারে না এবং ডেঙ্গির ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি কচ্ছপ পচা খাবার, মাইক্রো-অর্গানিজম ও নোংরা খেয়ে জলকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বারুইপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, মাথায় হেলমেট থাকলেও বাঁচানো গেল না প্রাণ
অর্থাৎ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই জলজ প্রাণীরা একপ্রকার নীরব যোদ্ধা। কচ্ছপ উদ্ধার করার পর মলয় ঘোষ জানান, “মানুষ যদি এই প্রাণীগুলিকে মেরে না ফেলে বাঁচিয়ে রাখে, তাহলে ডেঙ্গির প্রভাব বহু জায়গায় কমে যাবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজ যখন ডেঙ্গি মানুষের জীবনে আতঙ্কের নাম, তখন এই ছোট্ট প্রাণীগুলিই আমাদের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তাই কচ্ছপ রক্ষা শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, মানুষের নিজের স্বাস্থ্য রক্ষারও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কচ্ছপ উদ্ধার ও পুনর্বাসনের ঘটনা তাই শুধু একটি দায়িত্ব পালন নয়, এ এক বড় বার্তা। প্রশাসন, পরিবেশপ্রেমী ও স্থানীয় মানুষ মিলে যদি সচেতন হন, তবে প্রকৃতি আরও সুরক্ষিত হবে এবং আমরা পাব সুস্থ ভবিষ্যৎ।





