জঙ্গলমহলের সঙ্গে হাতির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। গবেষকরা মনে করছেন, মানুষ এবং হাতির সংঘাত শুধুমাত্র বেশ কয়েক দশকের। মানুষের সভ্যতার উন্নতি, জঙ্গল কমে আসা যেমন একটি কারণ, তেমনই হাতিকে উত্যক্ত করা আরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সমস্যার।
advertisement
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ১৯৮৭ সালের আগে জঙ্গলমহলে তেমন হাতির প্রভাব ছিল না। পরবর্তীতে, ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে হাতির পাল ক্রমশ চলে আসে জঙ্গলমহলে। জঙ্গলমহল যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের এই জঙ্গলে সুন্দর হ্যাবিটেট থাকার কারণে ধীরে ধীরে এই জঙ্গলে বাড়তে শুরু করে হাতির দল। তবে বর্তমানে হাতির সঙ্গে মানুষের সংঘাত বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বেশ অনেকটাই। মনে করা হচ্ছে, জঙ্গলের স্বাভাবিক বাসস্থানে থাকা হাতিদের নিয়মিত উত্যক্ত করা, তাদের স্বাভাবিক জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটানো – হাতির লোকালয়ে চলে আসার এক অন্যতম কারণ। শুধু তাই নয় সভ্যতার উন্নতির ফলে বিভিন্ন বনাঞ্চল ধ্বংস করাও একটি নির্দিষ্ট কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতি ও মানুষের সংঘর্ষের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিকভাবে জঙ্গলমহলে বেশ চিন্তার কারণ হাতি। বেশ কয়েক দশক পিছনে গেলেই দেখা যাবে জঙ্গলমহলে হাতির সংখ্যা হাতে গোনা ছিল, এখন একসঙ্গে হাতির পাল বের হয় এলাকায়। স্বাভাবিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয় চাষবাসে। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকতে হয় জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষকে।





