রবিবার থেকে সেই সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে। এরপরই গাছ ধুয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। সোমবার বন দফতরের নির্দেশ মতো, ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকলের একটি ইঞ্জিন গোটা গাছকে জল দিয়ে ধুয়ে দেয়।
advertisement
বিষক্রিয়াজনিত মৃত্যুর কারণে গোটা গাছকে ধুয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল বনবিভাগ। সেই মতো সোমবার বিকেলে দমকল কর্মীরা এসে জল স্প্রে করে গাছটিকে ধোয়ার বন্দোবস্ত করে। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের আম্বিডাঙ্গর এলাকায় একটি প্রাচীন বটগাছের নীচে পাখি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
বন বিভাগের প্রাথমিক অনুমান, একাংশ মানুষের বিষ প্রয়োগের কারণে এই ঘটনা ঘটছে। পরিযায়ী পাখির মৃত্যু ঘিরে তৎপরতা দেখা যায় বন দফতরের মধ্যে। বেলদার আম্বিডাঙ্গরে আসে দমকল পাশাপাশি পরিবেশপ্রেমী ও বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিরা। প্রাচীন বটগাছ-সহ সংলগ্ন জঙ্গল এলাকাগুলোতে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। সঙ্গে ছিল খড়গপুর বনবিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মঞ্চের বেলদা ও খাকুড়দা শাখা। তাঁদের উদ্যোগে এলাকায় মাইকিং করে পরিবেশ সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। বনবিভাগ এবং দমকলের তরফে গাছ ও সংলগ্ন এলাকা ধুয়ে দেওয়ার পর কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষ ও পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে। তবে এমন ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছে বন বিভাগ।





