পেশা এবং নেশা, উভয়কেই এক সুতোয় বেঁধে রেখেছেন অনিন্দিতাদেবী। অনলাইন মাধ্যমে শিখে, নিজস্বতা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরি করছেন। বাড়ির অন্যান্য কাজ সামলে গয়না বানিয়ে একদিকে যেমন তাঁর রোজগার হচ্ছে, তেমনই গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার বার্তাও দিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ছোট্ট দেশলাই বাক্সেই ৭৮ জন বীর বিপ্লবী! প্রাথমিক শিক্ষক যা করলেন… ‘ট্যালেন্ট’ দেখে মুগ্ধ সকলে
advertisement
সকাল থেকে বাড়ির বিভিন্ন কাজ সামলে স্কুলে যান অনিন্দিতাদেবী। ছোটবেলায় তিনি প্রাথমিক অঙ্কন শিক্ষা নিয়েছিলেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকায় বিভিন্ন সময় হাতের কাজও করতে হয়েছে। এখন ব্যস্ততার ফাঁকে অবসর সময় পেলে ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বানাচ্ছেন এই শিক্ষিকা।
বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে স্কুল। সাংসারিক কাজের পর ক্লে, রং, তুলি নিয়ে বসে পড়েন। নিজের শিল্প ভাবনায় ও নিপুণতায় বানিয়ে ফেলেন একাধিক হ্যান্ডমেড গয়না। সেগুলি বিক্রিও করছেন।
আরও পড়ুনঃ একটি ঘরেই পড়ুয়াদের গাদাগাদি, চলছে চারটি শ্রেণির ক্লাস! ‘আজব’ পরিস্থিতি রাজ্যের এই বিদ্যালয়ে
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা অনিন্দিতা চক্রবর্তী ষড়ঙ্গী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা। নাচ এবং আবৃত্তি তাঁর শখ। সেই অনিন্দিতাদেবীই ক্লে দিয়ে জুয়েলারি বানানোর কাজ শুরু করেছেন। অবসর সময়ে হাতে তৈরি এই গয়না বিক্রি করে প্রচুর লাভও হচ্ছে এই শিক্ষিকার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
করোনার সময় থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে জুয়েলারি তৈরি শিখেছেন অনিন্দিতাদেবী। সামান্য খরচ এবং অল্প কাঁচামাল দিয়েই এই জুয়েলারি বানাচ্ছেন তিনি। গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত পর্যন্ত চলে অনিন্দিতাদেবীর জুয়েলারি তৈরির কাজ। তাঁর হাতে তৈরি গয়নার দাম ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া পছন্দের মতো জুয়েলারিও বানিয়ে দেন তিনি। তাঁর কাছে বাচ্চাদের জন্য পেন্ডেন্ট, গয়নাও রয়েছে। শিক্ষিকার অবসরযাপন এবং গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করার এই বিশেষ ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।