আনন্দ উচ্ছাসে মাখা এই রঙের উৎসবে তারা শৈশব, কৈশোর বা যৌবন কাটিয়েছেন কিভাবে ?
জানতে চাইতেই সবার মুখে ফুটল হাসি, চোখের সামনে যেন ভেসে উঠল সেই কাটিয়ে আসা দিন গুলোর ছবি। কেউ বললেন, খুব আনন্দে কাটানোর মজার মজার জীবনের অংশ। বললেন, তখনের স্বাধীন জীবনের কীর্তি, সারাদিন বাড়ির বাইরে, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে হোলি খেলে, দুপুরের মধ্যে রঙ মেখে একাকার হয়ে বাড়িতে ঢুকে মা বাবার কাছে বকুনি খাওয়ার স্মৃতি। আবার কেউ শোনালেন, তাঁর বাড়ির কঠিন ডিসিপ্লিনের জীবনকথা। দোলের দিনে বাড়ির বাইরে পা না রাখায় কড়া বিধিনিষেধ। একে একে শুনলাম অনেকের জীবনের বসন্তের কাহিনী।
advertisement
আরও পড়ুন - দোলের রঙে রঙিন মহম্মদ শামির স্ত্রী,কন্যা- মেয়ের নাচের ভিডিও পোস্ট হাসিনের
এখন কেমন কাটে বসন্ত ?
অনেকে আকাশের দিকে মুখ তুলে চাপাস্বরে বললেন, কেটে যাচ্ছে ওইরকম। তারই মাঝে একজন বলে ফেললেন, এখন আর আমাদের জীবনে বসন্ত আসেনা। নিয়ম রক্ষার্থে অনেকেই এসে পায়ে আবির দিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে যায়। অনেকে খাবার দাওয়ারের ব্যবস্থা করে আনন্দ ভাগ করে নিতে। আর এইসব দাদু ঠাকুমারা ভবিষ্যতের অন্ধকারে অতীতের স্মৃতি হাতড়ে কিছু না পেয়ে মেতে ওঠেন বর্তমানে অন্যের আনন্দে।
বৃদ্ধাশ্রমের কর্নধার সত্যব্রত দোলই বলেন, অনেকেরই পরিবার পরিজনেরা মাঝে মাঝে আসেন, খোঁজ খবর নেন, বিভিন্ন উৎসবে সীমিত সময়ের জন্য সামিল হোন। আবার অনেকের পরিজনেরা দেখা করতে আসতে পারেন না তবে ফোনে খোঁজ খবর নেন। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে আমরা এঁদের অংশগ্রহন করাই, অনেকে নিজেরাই অংশ নেন। জীবনের অনেক স্মৃতিবিজড়িত দিন গুলি পেরিয়ে আসা মানুষগুলিও জীবনের শেষদিন গুলোতেও যে আনন্দে থাকার চেষ্টা করে, সেটাই হয়তো আমাদের পরম প্রাপ্য।
Partha Mukherjee
