আসলে এই সার স্থানীয়ভাবে তৈরি হয় না। বরং আসে দূর দূরান্ত থেকে মালগাড়িতে করে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র চন্দ্রকোনা রোড রেল স্টেশন। এখানেই এসে থামে বিশাল মালবাহী ট্রেন, ভর্তি থাকে DAP, MOP, ইউরিয়া-সহ নানান রাসায়নিক সার। ট্রেন যখন স্টেশনে ঢোকে, তখনই শুরু হয় শ্রমিকদের দৌড়ঝাঁপ। প্রতিটি বগি থেকে সার খালি করার নির্দিষ্ট স্থানকে বলা হয় র্যাক পয়েন্ট। র্যাক পয়েন্টে বস্তা নামানোর কাজ চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলিতে দ্রুত ভরে তোলা হয় সার। তারপর সেই ট্রাক ছুটে যায় জেলার বিভিন্ন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সার দোকানে।
advertisement
আরও পড়ুন : হাতির হানা রুখতে এবার মোক্ষম ‘প্ল্যান’ বন দফতরের, বসছে সোলার লাইট, ফেন্সিং! উপকার হবে কৃষকদেরও
কৃষকরা সেখান থেকেই সংগ্রহ করেন প্রয়োজনীয় সার। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ট্রেন, ট্রাক, দোকান এই তিন ধাপের মাধ্যমেই কৃষকের হাতে পৌঁছে যায় প্রতিটি সারের বস্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে আলু চাষে প্রচুর পরিমাণে পটাশ, নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের প্রয়োজন হয়। স্থানীয় বাজারে হঠাৎ এত চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই মালবাহী ট্রেনে সার আনা ছাড়া বিকল্প নেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রেলপথে সার আসার ফলে পরিবহন খরচ কমে, ফলে কৃষকেরাও তুলনামূলকভাবে কম দামে সার কিনতে পারেন। শীতের আলু মরশুমে সঠিক সময়ে সার পৌঁছনো না গেলে ফসলের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই প্রতি বছর র্যাক পয়েন্টে সারের আগমন কৃষকদের জন্য যেন আশীর্বাদ। চাষাবাদ সহজ হয়, উৎপাদনে বাধা পড়ে না, আর অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিও সক্রিয় থাকে। চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনের র্যাক পয়েন্ট যেন শীতের মরশুমে কৃষকদের স্বস্তির কেন্দ্র। এখান থেকেই আলুর জমিতে প্রাণ ফেরাতে যাত্রা শুরু করে প্রতিটি সারের বস্তা।





