দাসপুরের রাধাকান্তপুরের বাসিন্দা ওই যুবকের বাবা মা এর কথায়, ‘মাসখানেক আগে তাদের ছেলেকে ওই নেশা মুক্তিকেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছিলাম। ছেলে মদ্যপানের নেশায় জড়িয়ে পড়েছিল। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে দেখা করতে দেওয়া হত না। জোরাজুরি করে ছেলের দেখা পেতাম। তিনদিন আগে দেখতে গিয়ে ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে জানতে পারি। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।’ যুবকের বাবা মা বলেন,’নেশা মুক্তির জন্য ভরসা করে ওখানে রেখেছিলাম।
advertisement
ছেলেকে মেরে দেওয়ার জন্য না। শুধু মারধর না,নানা রকমের মানসিক নির্যাতনও করা হত বলে তাঁদের অভিযোগ। ‘নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে আপাতত ছেলেকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন তার বাবা মা। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই কেন্দ্রে ১৬ জন রয়েছে। কেন্দ্রের মালিক সৌভিক পাঁজা ও ম্যানেজার ঋত্বিক মন্ডলকে রবিবার ঘাটাল মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক দু’জনকেই চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুর্লভ সরকার জানান, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ আসে ৩০ বছরের এক যুবক গত একমাস ধরে ওই কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নেশা করতেন। সেই নেশা ছাড়ানোর জন্য তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তাকে অত্যাচার করা হয়েছে , এরকম একটি খবর আমরা পেয়ে সেখানে পুলিশ টিম পাঠাই। সবার সঙ্গে কথা বলে তার সত্যতা পাই। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ নিয়ে মামলা শুরু করা হয়। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক ও আরও একজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠালে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে দিয়েছেন বিচারক। হেফাজতে পাওয়া নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক ও ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।






