পালকের উপর কিংবা চালের উপর পোর্ট্রেট যেন প্রাণবন্ত। সকাল থেকে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর তার শিল্প নিপুণতা এবং তার হাতের কাজ অবাক করবে সকলকে। চক, পাখির পালক কিংবা মিনিয়েচার আর্টে দক্ষ এই বাইক মেকানিক।
advertisement
সকাল থেকে হাতে তুলে নিতে হয় রেঞ্জ থেকে স্ক্রু ড্রাইভার। সকাল থেকে সন্ধ্যা গ্যারেজে হাড় ভাঙানি খাটুনি।তবে রাত হলেই বসে পড়া এই সকল জিনিস নিয়ে। কখনও রং তুলি, কখনও পেন্সিল আর নাইফ নিয়ে চলে কারসাজি। সকাল থেকে গ্যারেজে ব্যস্ত থাকলেও রাত হলে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ছোট্ট লাইট জেলে চলে তার শিল্পকর্ম।
ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জিনিসের উপর ফুটিয়ে তোলেন নানান ছবি। কখনও আবার পালকের উপর ঠাঁই পায় বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষদের প্রতিকৃতি। বাইক সারানো পেশা হলেও প্রান্তিক এলাকার এই যুবকের নেশা অবাক করবে সকলকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়! বাংলার হাওয়ার গতিতে বদল, শীত বাড়বে নাকি কমবে? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
পেশাগতভাবে শুধু যে গ্যারেজে কাজ করা তা নয়, শিল্পের নানা আবিষ্কার মুগ্ধ করেছে সকলকে। পেট চালাতে গ্যারেজ সামলাতে হলেও তার সৃষ্টিশীলতা অবাক করবে আপনাকে।যেমন তার মেকানিকের কাজে শিল্প নিপুণতা, যত্ন সহকারে সারিয়ে তোলে বিভিন্ন মোটরসাইকেল তেমনই আবার রাত জেগে রং তুলির আঁচড় কেটে ফুটিয়ে তুলে নানান ছবি।
কখনও মসুর ডালে, আবার কখনও চালের উপর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। পেয়েছেন সম্মান।পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের শিল্পী প্রসেনজিৎ কর।গ্রামে থেকে দিনের পর দিন হাড় ভাঙা খাটুনির পর রাতে চলে তার শিল্প কর্ম।প্রসেনজিৎ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মাইক্রো আর্ট এর কাজ করছেন তিনি।
মিনিয়েচার আর্টের হাত ধরেই এসেছে প্রচুর সম্মান। কখনও পেন্সিলের শিশ কেটে নানা ছবি, প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রসেনজিৎ। কখনও আবার পালকের উপর ফুটিয়ে তুলেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি থেকে ক্রিকেটের গৌরব সৌরভ গাঙ্গুলীকে, আবার চালের দানার উপর সপরিবারে দশভূজার ছবি।
সারাদিন কাজের পর পরিবার সামলে উঠে চলে ছবি আঁকার কাজ।অবসর সময়ে ছবি আঁকেন।চক কেটে নানা প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা কিংবা পেন্সিল কার্ভিংয়ের মধ্য দিয়ে নানান মনীষীর মূর্তি বানিয়েছেন তিনি। তার এই শিল্প প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ মিলেছে একাধিক সম্মান ও পুরস্কার। গ্যারেজে কাজের পাশাপাশি তার নতুন ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।