ভারত সরকারের খনি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত এই বিভাগে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রতিনিধিরা, গত জুন মাসে গনগনিতে এসে ব্লক প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে জিও হেরিটেজ স্বীকৃতি ঘোষণা করে। মূলত ভূ গবেষণার অত্যন্ত প্রাণকেন্দ্র এই বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নটি।
আরও পড়ুন: ‘পার্টি আমাকে…’ শুভেন্দু গড়ে গিয়ে এ কী বললেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ? তোলপাড় বাংলা!
advertisement
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামীতে ভূ গবেষণার এক নতুন পথ দেখাবে এই ল্যাটেরাইট মাটির তৈরি ভূমিক্ষয় গনগনি। প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে শিলাবতী নদী। বছরের পর বছর ধরে শিলাবতী নদীর ভূমিক্ষয়ের ফলে তৈরি হয়েছে নানান ভূমিরূপ। কোথাও দুর্গ আবার কোথাও গভীর। নদীর দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভূমিক্ষয়ের শ্রেষ্ঠ ভূমিরূপ গনগনি যা পরিচিত বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হিসেবে। এই ভূমিরূপ আসলে ল্যাটেরাইট মাটির তৈরি।
ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বক্ষণ সূত্রে খবর, রাজ্যের দুটি জায়গাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম গনগনি। যেখানে ইতিমধ্যে দুটি বোর্ড বসান হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে মধ্যমস্তরীয় ভুআকৃতি বিজ্ঞান হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যা বহুস্তরের ল্যাটেরাইটের উপর বিকশিত।
গড়বেতা বিধানসভার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা বলেন, “খুব আনন্দের খবর। জিও হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামীতে পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি গবেষণার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। শুধু তাই নয় আগামীতে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় এখানে আরও নতুনভাবে সাজানো হবে পর্যটনকেন্দ্রকে।”
সম্প্রতি একটি ভিডিও পর্যটক, ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের কাছে গনগনির গুরুত্ব বোঝাতে তৈরি করা হবে। এবং জাতীয় স্তরে সম্প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠান হয়েছে।
রঞ্জন চন্দ