প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, বর্ষার আগেই যাতে নদীর জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানো যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রতিদিন একটানা কাজ চলছে। বহুদিন পরে নদী সংস্কারের এই দৃশ্য দেখে নতুন করে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই মাস্টারপ্ল্যানের কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখতে শিলাবতী নদী এলাকা পরিদর্শনে আসেন কংসাবতী প্রজেক্টের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক। তাঁদের উপস্থিতিতে কাজের অগ্রগতি, খননের গভীরতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নয়া বিজনেস আইডিয়া, কফির কাপে তুফানি আড্ডা! পুরুলিয়া গেলে মিস করবেন না
শিলাবতী নদীর ওপর পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্রসবাঁধ তৈরি করা হয়েছে। দাসপুর ব্লকের শিমুলতলা, রামদেবপুর এবং সুজানগর এলাকায় এই ক্রসবাঁধগুলি দেওয়া হয়েছে। মূলত নদীতে হঠাৎ করে জল প্রবেশ আটকান এবং খননের কাজ নির্বিঘ্নে চালানোর জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় ভারী যন্ত্রের সাহায্যে নদীগর্ভ থেকে পলি ও বালি তুলে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোলে আগামী বর্ষার আগেই মাস্টারপ্ল্যানের একটি বড় অংশ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এর ফলে বর্ষার সময় নদীতে জল নামার গতি বাড়বে এবং জল উপচে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্যার আতঙ্কে থাকা ঘাটাল ও দাসপুর এলাকার মানুষজন এই কাজের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাঁদের বিশ্বাস, মাস্টারপ্ল্যান পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর বর্ষা এলেই যে দুর্ভোগ নেমে আসে, তার অবসান ঘটবে। প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, কাজের মান ও সময়সীমা, দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে মাস্টারপ্ল্যান এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।





