এই পরিস্থিতিতেই নতুন উদ্যোগ নিয়েছে মেদিনীপুর ডিভিশন। প্রথমবার এই এলাকায় জঙ্গলে হাতির সংখ্যা ও গতিবিধি নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি। হাতির চলাফেরা রিয়েল টাইমে দেখা যাবে ড্রোনের ক্যামেরায়। ফলে সংকটপূর্ণ মুহূর্তে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা যাবে আরও দ্রুত। এই বিষয়ে মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার দীপক এম জানান, জঙ্গলে হাতির চলাচলে নিয়মিত কড়া নজরদারি চালানো যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁশবোঝাই লরিতে আগুন, নেভাতে গিয়ে বাড়ল লেলিহান শিখার দাপট! জাতীয় সড়কে তীব্র চাঞ্চল্য
তাছাড়াও ড্রোনের সাহায্যে নির্ভুলভাবে গণনা করা যাবে, ঠিক কত বড় হাতি, কত ছোট হাতি রয়েছে মেদিনীপুর ডিভিশনে। ডিএফও জানান, ধারণা করা হচ্ছে মেদিনীপুর ডিভিশনের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩৫টি হাতি রয়েছে। আর পুরো জঙ্গলমহল অঞ্চলে মিলিয়ে এই সংখ্যা হতে পারে ১৫০ থেকে ২০০। ড্রোন ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে হাতিগুলির দলবদ্ধ চলাফেরা, তাদের অবস্থান ও দিক পরিবর্তনের তথ্য মুহূর্তেই বন দফতরের হাতে পৌঁছে যাবে। দিনের পাশাপাশি নাইট ভিশন ড্রোনের মাধ্যমে রাতেও ধরা পড়বে হাতির গতিবিধি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাতের অন্ধকারে হঠাৎ হাতির হামলার ঘটনা এ অঞ্চলে নতুন কিছু নয়। তাই এই প্রযুক্তি চালু হলে গ্রামের মানুষকে অনেক আগেই সতর্ক করা যাবে। কোন পথে হাতির দল এগোচ্ছে, কোন এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে, সবকিছুই জানিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় থানা, এলাকায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রাম সুরক্ষা কমিটিকে। বন দফতরের ধারণা, এই নজরদারি ব্যবস্থা চালু হলে মানুষ-হাতি সংঘাত কমবে। গ্রামবাসীদের ক্ষয়ক্ষতি কমবে। পাশাপাশি হাতিগুলিকেও সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।






