বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি জন্মেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লকের রাধানগর গ্রামে। বাড়ি থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই তাঁর মামাবাড়ি। সেখানেই তিনি কাটিয়েছেন তাঁর ছেলেবেলা। মামা বাড়িতে থেকেও সংগঠিত করেছিলেন যুবকদের। জানেন কোথায় তার মামার বাড়ি? কতটাই বা আদরের ছিলেন তিনি? মামা বাড়িতে জমিদারি রাজত্ব, সুবিশাল বাড়ি, মন্দির, শান বাঁধানো পুকুর। মামা বাড়ির অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন হেমচন্দ্র।
advertisement
পরাধীন ভারতবর্ষের ভারতের জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। তার তৈরি বোমা ক্ষুদিরাম বোস এবং প্রফুল্ল চাকী অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে মারতে ব্যবহার করেছিলেন। মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের খণ্ডরুই এলাকায় রয়েছে হেমচন্দ্র কানুনগোর মামার বাড়ি। হেমচন্দ্র কানুনগোর মামার বাড়িতে ছিল জমিদাররাজ। এলাকায় ছিল জমিদার বাড়ি। সেখানে তিনি যেতেন বহুবার। এখনও তার মামার বাড়ি সামান্য কিছু ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। রয়েছে পরিবারের উত্তর পুরুষেরা। পরিবার সূত্রে খবর এবং ইতিহাসবিদেরা মনে করেন, হেমচন্দ্র কানুনগো মামার বাড়িতে বসেও বিপ্লবী কার্যকলাপ চালিয়েছেন। এখানে এলাকার তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি। করেছিলেন সংগঠনও। তবে এখন ক্রমশ ধ্বংসের মুখে মামা বাড়ির সেই জমিদার রাজের ইতিহাস। তবে এখনও তাঁর পরিবারের উত্তরসুরিরা স্মরণ করে হেমচন্দ্রের জীবনের নানা কাহিনি। ইতিহাস সংরক্ষণ করতে গ্রামীণ এলাকার কিছু যুবক সচেষ্ট হয়েছেন।
পরে আলিপুর বোমা মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, বিচারে তার দ্বীপান্তর হয়। ফিরে এসে শেষ বয়স কাটিয়েছিলেন নিজের বাসভূমিতে। আসতেন মামার বাড়ি। হেমচন্দ্রের কৃতিত্বে এবং বৈপ্লবিক চিন্তা ধারায় গর্বিত মামার বাড়ির উত্তর পুরুষেরা। তবে মামা বাড়িতে হেমচন্দ্রের সেই স্মৃতি আগলে রেখেছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ