জানা গিয়েছে, বন দফতরের তরফে এই গাছের ডালপালা ছাঁটার জন্য একটি অনুমতি দেওয়া হয় অতি সম্প্রতি। কিন্তু দেখা যায় সকাল থেকে গাছের বড় বড় গুঁড়ি কেটে ফেলা হচ্ছে ঠিকাদারের তরফে। এরপরই প্রতিবাদ জানায় স্থানীয়রা, এগিয়ে আসে বিজ্ঞান মঞ্চ সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাছের ডাল, গুড়ি ফেলে রেখেই চম্পট দেয় ঠিকাদার ও তার কর্মীরা। এত বড় গাছ শহরের বুকে কাটা হচ্ছে কিন্তু কেন কোনও প্রশাসনিক নজরদারি নেই এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মালা মুখী জানিয়েছেন, “ডালপালা কাটার নামে গাছ কাটার ধান্দায় ছিল ঠিকাদাররা। বহু প্রাচীন এই গাছ তারা কেটে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছিল। এই গাছের ছায়ার নিচে বসে বহু মানুষ কিছুটা হলেও প্রশান্তি পান। কিন্তু এই গাছ কেটে ফেলা হলে তারা কোথায় যাবেন? আমরা চাই কোনওভাবেই যেন এই গাছ কেটে ফেলা না হয়।”
আরও পড়ুন: অবসর নিলেও নেননি ‘ছুটি’! বিনাপারিশ্রমিকে টানা ২২ বছর ধরে স্কুলে পড়াচ্ছেন ৮৫ বছরের এই শিক্ষক
অন্যদিকে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য সুদীপ খাঁড়া জানিয়েছেন, “সকাল বেলায় আমরা দেখতে পেয়েই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাই। প্রথমদিকে গাছ না কাটার অনুরোধ জানানো হয় এবং পরে যখন কাগজ দেখতে চাই, তখন ওঁরা যে কাগজ দেখায় তাতে দেখি গাছ কাটার কোনও উল্লেখ নেই। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতর এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বন দফতর তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”