অবসর নিলেও নেননি 'ছুটি'! বিনাপারিশ্রমিকে টানা ২২ বছর ধরে স্কুলে পড়াচ্ছেন ৮৫ বছরের এই শিক্ষক

Last Updated:

জীবনে সন্তান না থাকলেও, আজ তার আশেপাশে ছেয়ে আছে শত শত সন্তানের মতো স্নেহভাজন ছাত্রছাত্রী। বিয়ের পর নিঃসন্তান জীবন যাপন করলেও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোবাসায় আজ তিনি অভিভাবকের চেয়েও বেশি কিছু!

+
৮৫

৮৫ বছর বয়সেও শিক্ষায় নিবেদিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক 'দাদু স্যার'

পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: ৮৫ বছর বয়সে যেখানে অনেকেই বিশ্রাম আর স্মৃতির জগতে ডুবে থাকতে পছন্দ করেন সেখানে এই মানুষটি নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতায় গড়ে তুলেছেন এক অনন্য নজির। তিনি সুবল চন্দ্র নন্দী! পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। যিনি আজও প্রতিদিন ঠিক সময়মতো স্কুলে এসে নিঃস্বার্থভাবে পাঠদান করে চলেছেন শত শত ছাত্রছাত্রীকে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে ৮৫ বছরের এই শিক্ষক আজ ‘দাদু স্যর’ নামে পরিচিত। বয়স যে শুধুই একটা সংখ্যা, সুবল চন্দ্র নন্দী তার জীবন্ত প্রমাণ।
জীবনে সন্তান না থাকলেও, আজ তার আশেপাশে ছেয়ে আছে শত শত সন্তানের মতো স্নেহভাজন ছাত্রছাত্রী। বিয়ের পর নিঃসন্তান জীবনযাপন করলেও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালবাসায় আজ তিনি অভিভাবকের চেয়েও বেশি কিছু। নপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুবল বাবুর শিক্ষকজীবনের সূচনা ১৯৬১ সালে কাশীপুরের রঙ্গিলাডি গোপালচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। টানা ৪০ বছর শিক্ষকতা করে ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। অবসরের পরে দু’বছর বাড়িতে কাটালেও, মনের ভেতর যেন শূন্যতা ভর করে তার। ছাত্রছাত্রীদের টান, স্কুলের ঘ্রাণ, সেই প্রতিদিনের পড়ানোর অভ্যাস, সব কিছু যেন তাকে বারবার টানতে লাগল স্কুলের দিকে।
advertisement
advertisement
তাই আবার ২০০৩ সালে পৌঁছে যান নিজের গ্রামের পুরুলিয়ার নপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পূর্ণ সহযোগিতায় সেখানে শুরু করেন শিক্ষকতার দ্বিতীয় ইনিংস। তবে এবার কোনও পারিশ্রমিক ছাড়া, নিছক ভালবাসা আর দায়িত্ববোধ থেকে। সেই থেকেই শুরু। আজ অবধি চলছে সেই যাত্রা, দু’বছরের বেশি সময় ধরে তিনি নিরলসভাবে পাঠদান করে চলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
৮৫ বছর বয়সেও সুবলবাবু আজ যেন সময়কে হার মানিয়েছেন। ক্লান্তি বা বয়স তার পথে কোনওদিনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ঝড়-বৃষ্টি, শীত-গ্রীষ্ম উপেক্ষা করে প্রতিদিন ঠিক সময়ে পৌঁছে যান স্কুলে। নিজে সিঁড়ি বেয়ে উঠেন দোতলার ক্লাসরুমে, আর অনায়াসে দাঁড়িয়ে পড়ান ঘন্টার পর ঘন্টা। এই মানুষটির জীবনের গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শিক্ষা শুধু পেশা নয়, এটি এক সেবার ব্রত। আর ভালবাসা দিয়ে যদি কাজ করা যায়, তবে বয়স কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অবসর নিলেও নেননি 'ছুটি'! বিনাপারিশ্রমিকে টানা ২২ বছর ধরে স্কুলে পড়াচ্ছেন ৮৫ বছরের এই শিক্ষক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement