এবার জল বিপুল পরিমাণে বাড়তে শুরু করেছে ঝুমি নদীতেও। আর ঝুমি নদীর দুপাড়ের নীচু এলাকাগুলোও প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ কালো মেঘ, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, হঠাৎই নেমে এল সাক্ষাৎ যমদূত! মর্মান্তিক ঘটনা পিংলায়
লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও বেহাল। প্রায় একমাস হতে চলল জলমগ্ন ঘাটাল পৌর এলাকা, পাশাপাশি ঘাটার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাও। একদিকে জলাধারগুলো থেকে জল ছাড়া হচ্ছে অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল। ডুবেছে রাস্তাঘাট। যাতায়াতের জন্যে এলাকার লোকজনদের ভরসা এখন ছোট ডিঙি ও নৌকো। মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপুকুর থেকে মনসুকা যাবার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হল প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক। বন্যার জল উঠায় কারণে সেই রাস্তাও এখন ডুবেছে। ফলে যোগযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জলে ডুবে রাস্তাঘাট! নৌকা করে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন, কোথায় এই উদ্যোগ?
যার জেরে সমস্যায় বহু গ্রামের মানুষজন। বর্ষার শুরু থেকে টানা পাঁচ বার বানভাসি হল ঘাটাল। জল যেন পিছু ছাড়ছে না ঘাটালবাসীর। ঝুমি নদীর জল উপচে প্রবেশ করছে বিভিন্ন গ্রামে। জলে ডুবেছে কৃষিজমিও। যার ফলে এর প্রভাব পড়বে স্থানীয় বাজারেও। সবজির দাম হবে আকাশ ছোঁয়া। কাজেই বণ্যার জল কমলেও দুর্ভোগ অত সহজে কাটবে না বলেই আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। হাহাকার পরিস্থিতি চলছে গোটা এলাকাজুড়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে জল যন্ত্রণায় নাভিশ্বাস উঠেছে ঘাটালবাসীর। একঘেঁয়েমি জীবনযাত্রা চালাতে চালাতে কোথাও গিয়ে যেন দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের। প্রকৃতির রোষের মুখে পড়ে দুর্ভোগের শেষ নেই তাঁদের। এখন দেখার কবে প্রকৃতি শান্ত হয়ে মুখ তুলে তাকায় ঘাটালবাসীর দিকে।
মিজানুর রহমান