পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আস্তে আস্তে দাগ কাটছে নারীরা। সংসারের চাকা টানতে দাঁতে দাঁত পিষে লড়াই করে মেয়েরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির আটাঙ্গা গ্রামে শ্রীকান্ত নায়েকের বড় মেয়ে কাজল নায়েক। প্রায় ৩৪ বছর বয়স কাজলের। বাবা, মা, বোনের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়েছেন কাজল।লড়াইটা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। যখন ধীরে ধীরে সমাজ, সংসার দায়িত্বটাকে বুঝতে পারলেন। কতটা দায় কতটা দায়িত্ব থাকে সংসারে বড়দের উপর, তা উপলব্ধি করলেন কিছুটা বড় হতেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীতের রাতে গৃহস্থের বাড়িতে সিনেমায় কায়দায় চুরি! অন্তর্বাস টুকুও বাদ দিল না নিশি কুটুম্বরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের কাজল নায়েক। কাজল নারী পুরুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করেন না। বরং দাঁতের দাঁত চিপে মনকে শক্ত করে ধরে নৌকোর হাল। জলে ভেসে ভেসে রোজগার করা তার একমাত্র জীবিকা। জীবন বাঁচাতে জীবনের অধিকাংশটা সময়ে শান্ত সুবর্ণরেখার জলে নৌকা ভাসায়।
আরও পড়ুনঃ প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে মালদহের দুই ‘সু-কন্যা’! জোড়া সাফল্যে গর্বে বুক চওড়া জেলাবাসীর
কাজল বোঝেনা বিলাসিতা। চোখে মুখে স্পষ্ট সংসারের চাপ। সামান্য রোজগারে চালাতে হবে গোটা দিনের খরচ। সে জানে,তার কষ্টই এনে দেবে বাবার ওষুধ। সংসার চালানো, ওষুধের খরচ, ছোট বোন বাড়িতে, কে চালাবে সব। বৃদ্ধ বাবার পাশাপাশি প্রতিদিন পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখান নৌকায় করে। দিনে দু একশ কামাই করতে এই শীতেও মাথায় ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তবে দমে যাননি, দমাতে পারেনি কষ্টও। নৌকা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন বাড়ির বড় মেয়ে কাজল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংসারে হাল টানতে নৌকা নিয়েই সকাল থেকে বের হন কাজল। সামনে রয়েছে জঙ্গলকন্যা সেতু।যেটুকু পর্যটক আসে, নৌকাবিহারে যা অর্থ হয় সেটা দিয়ে সংসার চলে নায়েক পরিবারের। শ্রীকান্ত বাবুর বড় মেয়ে কাজল আগে ইটভাটায় কাজ করতেন। কখনও যেতে হয় দিনমজুরির কাজে। নারী পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে সংসার টানতে কাজল এখনও নাও বায়। নদীতে নেমে, হাল ধরে যেটুকু জুটে তাতে চলে গোটা সংসারের খরচ। তবে জঙ্গলমহলের এই মেয়ের প্রতিদিনের পরিশ্রম এবং লড়াই গোটা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।।





